Logo
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

চকরিয়ায় গ্রামীণ মৎস্য প্রকল্পে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৪

ডাকাতি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের চিংড়ি ও মৎস্য প্রকল্পে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

এ সময় তাদের কাছ থেকে লুট করা একাধিক মোবাইল, মাছসহ বিভিন্ন মালামালও জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকা থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এক কর্মচারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেনবলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ৩০০ একর বিশিষ্ট এই চিংড়ি ঘের বা মৎস্য প্রকল্পের অবস্থান সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর মৌজায়।

বুধবার ভোররাত আড়াইটার দিকে এই প্রকল্পে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের মারধরে চারজন কর্মচারী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।

পুলিশের কাছে সোপর্দ করা ডাকাতেরা হলেন- চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকার শামসুল আলমের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৮), একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে আকতার হোসেন (২৭), আবুল হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (২৮) ও সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মোহাম্মদ লালুর ছেলে আবুল হাসেম (২৬)।

এদিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার আগে স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে আটককৃত ডাকাতেরা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছে, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের মোজাম্মেল নামের এক পুরনো কর্মচারীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।

মূলত তার (মোজাম্মেল) কাছ থেকে অভয় পেয়েই সাত সদস্যের একদল ডাকাত প্রকল্পের মৎস্য আড়তে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষে হানা দিয়ে লুটপাট চালায়।

গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের তালিকাভুক্ত মৎস্য বেপারী আবদুল হামিদ বলেন, ‌‘বুধবার ভোররাতে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার পর ফাউন্ডেশনের খামার ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি চৌধুরী তাকে জানান।

এর পর ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তসহ তাদের ধরতে তৎপরতা শুরু করি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সারাদিন পাঁচজনকে আটক করি। তন্মধ্যে মহিউদ্দিন নামের একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধৃত চারজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।’

মৎস্য ব্যাপারী আমির হোসেন আরো বলেন, আটকরা সবাই ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ সময় তারা লুট করা দুটি মোবাইল ফোন, বেশকিছু মাছসহ অন্যান্য মালামাল ফেরত দেয়।

ডাকাত দল চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকার গ্রামীণ ব্যাংকের আওতায়ধীন ৩০০ একর মাছের প্রজেক্ট ডাকাতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আটককৃত ডাকাতদল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে থাকে।

তাদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ