চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নিজ শরীরে আগুন দেওয়া গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২৬) মারা গেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে মারা যান ফাতেমা।
গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর বগাচতর গ্রামের মো. মুসলিমের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, ফাতেমা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। মরদেহটি ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আাগে গত ১৪ জুন স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নিজ শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ফাতেমা আক্তার।
ফাতেমার চাচাতো ভাই গিয়াস উদ্দিন বলেন,‘ফাতেমার মৃত্যুর পর রাতে আমরা সীতাকুণ্ড থানায় গিয়েছি। ভোর পর্যন্ত সেখানে আমরা ছিলাম। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি।’
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও সাড়া মেলেনি।
জানতে চাইলে সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. জাফর বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় আসছিল কিনা আমার জানা নেই।
ময়নাতদন্ত যেহেতু হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। আর মামলা দিতে আসলে আমরা আবশ্যই নেব। হয়তো ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি বুঝতে ভুল করেছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী মুসলিম তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
গত ১৪ জুন পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে স্বামী আবারও মারধর করলে তিনি ঘরের ভেতর ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন।
এরপর থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শরীরের প্রায় ৫৫ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।