আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই পূর্ণিমাতেই গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ এবং মহাপরিনির্বাণ সংঘটিত হয়েছিল।
দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় গভীর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আধ্যাত্মিক আবহে উদযাপন করে এই বুদ্ধপূর্ণিমা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার (১১ মে) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমপ্রদায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন করছে।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বলন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাত ফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা, ধ্যান ও বুদ্ধ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়াও বিশেষ আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা মানবজাতির সর্বাঙ্গীন শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মাধ্যমে বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। তারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
সারাদেশের বৌদ্ধ বিহারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকেরা জানান, ‘শান্তি ও সহিষ্ণুতার প্রতীক হিসেবে বুদ্ধের শিক্ষা আজকের সমাজে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। বিভেদ ও হিংসা পরিহার করে একে অপরকে শ্রদ্ধা জানানোই বুদ্ধের আদর্শ।’
বুদ্ধপূর্ণিমার এই মহিমান্বিত দিনে দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা।