বর্তমান সময়ে নারীদের নিরাপত্তা এক জরুরি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন হাতের মুঠোয় মিলছে সুরক্ষার উপায়।
স্মার্টফোনে কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপ ইনস্টল করে নারী নিজেই হতে পারেন আরও সচেতন ও আত্মরক্ষায় প্রস্তুত। নারীদের নিরাপত্তায় কার্যকর এমন ৫টি মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সেফটিপিন
এই অ্যাপটি আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে। এতে রাস্তার আলো, জনসমাগম, ট্রাফিক তৎপরতা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির ভিত্তিতে কোনো স্থানকে নিরাপদ, ঝুঁকিপূর্ণ বা অনিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজের অভিজ্ঞতা, মতামত ও ছবি আপলোড করেও রেটিং আপডেট করতে পারেন। অপরিচিত বা রাতের সময় কোথায় যাওয়া নিরাপদ হবে তা আগেভাগেই বুঝে নেওয়া সম্ভব হয় এই অ্যাপের মাধ্যমে।
বিসেফ
এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক সহায়তা চাওয়ার সুযোগ দেয়। এতে রয়েছে একটি এসওএস বোতাম, যা চাপলেই পূর্বনির্ধারিত কন্টাক্টদের কাছে জরুরি বার্তা এবং লাইভ লোকেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এতে অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সুবিধাও রয়েছে, যা সংকটময় মুহূর্তে প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করা সম্ভব। যে কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দ্রুত সহায়তা পাওয়ার পাশাপাশি ঘটনাটির তথ্য ও রাখা যায়।
সিটিজেনসিওপ
এই অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো অপরাধ বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ পুলিশকে জানানো যায়। লোকেশন ট্র্যাকিং ও SOS সেবা আছে। পুলিশ বা অন্যান্য সেবা সংস্থার সাথে দ্রুত যোগাযোগ করার অপশন রয়েছে।
বিপদের মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য পাওয়া সহজ হয় এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা যায়।
লাইফ ৩৬০
পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে একটি সার্কেল তৈরি করে একে অপরের লাইভ লোকেশন ট্র্যাক করা যায়। কেউ কোনো জায়গায় পৌঁছালে বা বের হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নোটিফিকেশন দিয়ে জানানো হয়।
জরুরি মুহূর্তে লোকেশনসহ এসওএস বার্তা পাঠানো যায়। আপনি একা চলাফেরার সময় পরিবারের সদস্যরা সহজেই জানতে পারে ব্যবহারকারী কোথায় আছেন।
সেক২সেফটি
এই অ্যাপটি ব্যবহারকারী ফোন ঝাঁকালেই বা পাওয়ার বাটন কয়েকবার চাপলেই নির্ধারিত নম্বরে এসওএস বার্তা ও লোকেশন পাঠিয়ে দেয়। ইন্টারনেট ছাড়াও এসএমএস ও কলের মাধ্যমে সহায়তা পাঠানো যায়।
হাত ব্যস্ত থাকলেও মাত্র এক ঝাঁকুনিতেই সহায়তা চাওয়া যায়, যা হঠাৎ বিপদের সময় খুব কার্যকর।
এই অ্যাপগুলো নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেয়। তবে শুধু অ্যাপ ব্যবহার করলেই পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না।
এর পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা, আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ ও আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি।
স্মার্টফোনে উপযুক্ত নিরাপত্তা অ্যাপ ইনস্টল করে একজন নারী নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী ও সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হন।