প্রতিদিনই দেশে-বিদেশে বহু মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন, অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন।
দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ মানুষ হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো অবহেলা করেন। আবার অনেকের ধারণা, শুধু বুকে ব্যথা হলেই বুঝি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তখনই ছোটেন ডাক্তারের কাছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, বুকে ব্যথা ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কসংকেত, যেগুলো উপেক্ষা করলে পরিণতি হতে পারে মারাত্মক।
চিকিৎসকদের মতে, হৃদযন্ত্রে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে হৃদপেশি (heart muscle) ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction)—যা মূলত হার্ট অ্যাটাক। যদিও এটি হঠাৎ করেই ঘটতে পারে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই শরীরে এর নানা পূর্বাভাস ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
১. বুকের মাঝখানে অস্বস্তি, ব্যথা, চাপ ধরা, ভারী লাগা, জ্বালাপোড়া বা সংকোচন অনুভূতি হতে পারে।
২. শরীরের অন্য অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি; দুই বাহু, পিঠ, গলা, চোয়াল বা পেটের ওপরের অংশেও ব্যথা হতে পারে।
৩. শ্বাসকষ্ট; বুকের ব্যথার সাথে বা আলাদা ভাবেই দেখা দিতে পারে।
৪. অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্বলতা, বমি ভাব, মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা—এসবও হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে।
৫. নারীদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী লক্ষণ: পুরুষদের মতো নারীরাও বুকের ব্যথা অনুভব করেন, তবে অনেক সময় তাদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো হয় কম স্পষ্ট।
যেমন: যদি রোগী নিশ্বাস না নেন তাহলে সিপিআর দিন। প্রশিক্ষণ না থাকলেও শুধু বুক চেপে ১০০–১২০ বার প্রতি মিনিটে চাপ দিন।
হার্ট অ্যাটাক হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগে যে পদক্ষেপগুলো জীবন বাঁচাতে পারে
১. যদি চিকিৎসক আগে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাহলে অ্যাসপিরিন দিন। এটি রক্ত জমাট বাঁধা রোধে সাহায্য করে।
২. একই ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ থাকলে নাইট্রোগ্লিসারিন সেবন করুন। এটা রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে।
৩. যদি রোগী নিশ্বাস না নেন তাহলে সিপিআর দিন। প্রশিক্ষণ না থাকলেও শুধু বুক চেপে ১০০–১২০ বার প্রতি মিনিটে চাপ দিন।
চিকিৎসকদের মতে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এ জন্য যা করতে হবে:
১. ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যে ‘না’ বলুন
২. দুশ্চিন্তা কমান, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
৩. রক্তচাপ, সুগার ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করে রাখুন
৪. প্রতিদিন হালকা-গভীর ব্যায়াম করুন
৫. লবণ ও চর্বি কম খাবার গ্রহণ করুন
৬. অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন