Logo
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

সাপ্তাহিক বাজার দর/চাল-মুরগির দাম বেশি,স্বস্থি নেই মাছেও

চাল, বাজার, ব্রয়লার, মুরগি

অর্থনীতি ডেস্ক : চট্টগ্রামের গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাজারে সব ধরনের মুরগির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।

শুক্রবার (২১ মার্চ) চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছরই ঈদের আগে মুরগির দাম বাড়ে। তাছাড়া ঈদ সামনে রেখে খামারিরা পাইকারি বাজারে মুরগি সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ১৭৫-১৮০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল। প্রতি কেজি সোনালি মুরগিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৬৫-২৭৫ টাকা।

এ ছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

এদিকে মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বিভিন্ন ক্রেতারা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেছেন, চাল, তেল মুরগির দাম ক্রমশই বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে অস্বস্থিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। ফলে সরকারের এই বিষয়টা সুনজরে দেখা উচিত।

গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট চাল। খুচরা দোকানে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৮২ টাকা ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মিনিকেট চালের মজুত কম। সরবরাহ কমায় ও ধানের দাম বাড়ায় মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে। তবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম বাড়েনি।

এদিকে এখনও অস্থির রয়েছে মাছের বাজার। বর্তমানে প্রতি কেজি চাষের রুই (দুই কেজি আকারের) ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়।

সবজির বাজারেও দামে দেখা দিয়েছে উদ্ধগতি চিত্র। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, লেবু, বেগুন ও শসার দাম অত্যন্ত চড়া। আকারভেদে এক হালি লেবু ৪০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি বেগুন ৬০-১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ২০-২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

আলু ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই কম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম থাকায় সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ কারণে দাম কম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ