চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারির সত্যতা যাচাই করতে হঠাৎ ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর টিম।
দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে বাড়তি টাকা আদায়ের প্রমাণও পাওয়া যায়।
দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীদের সেবা প্রদানে হয়রানি, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনার সময় দুদকের অভিযান দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করলে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন।
স্টেশনে দায়িত্বরত আরএনবির সদস্যরা বুকিং সহকারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকিট কালোবাজারির কাজগুলো করেন। অভিযানে এ–সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, পরিদর্শনের সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাত্রীদের টিকিট ছাড়াই বগিতে অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হয়।
অভিযানে রেলের বুকিং সহকারী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) এক সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পায় দুদক।
তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম।
অভিযানে পাওয়া নানা অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানান সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম।