বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চায়। তাই আমাদেরকে নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে ব্যাপক দাওয়াতী কাজ করতে হবে।
আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ গড়ার পর দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করে আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর চট্টগ্রাম-১১ আসনে থানা ও ওয়ার্ডসহ ছাত্র, শ্রমিক সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগীর সাবেক আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২য় স্বাধীনতার বিজয় লাভ করেছে। ১ম স্বাধীনতার পর জনগণ সত্যিকার মুক্তি পায়নি।
দেশ পথ হারিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতি সঠিক পথ পায়। ১৯৯১ সালে জামায়াত সংসদে ১৮টি আসন লাভ করার পর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ২০০১ সালে জনগণের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠনে সহযোগিতা করে।
২০০৮ সালে দেশ আবার পথ হারায়। জামায়াত বার বার ভারতীয় আধিপত্য ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।
৩৬ জুলাই ২০২৪ সালের গণবিপ্লব না হলে আজ কথা বলতে পারতাম না। তাই জুলাই বিপ্লবের চেতনা আমাদেরকে লালন পালন করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের নির্বাচন পরিচালক মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে বন্দর রেশমি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বন্দরে মাফিয়া চক্রের সদস্যরা অনুৎপাদনশীল খাতে অর্থব্যয় করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাট করে পাচার করেছে।
জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে খুনী হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। খুন, গুম, অপহরণ ও লুটপাট দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তাই আগামী নির্বাচনে দেশ গড়ার জন্য সৎ, যোগ্য ও দেশ প্রেমিক নেতৃত্বকে বিজয়ের জন্য জান ও মাল দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
উক্ত দায়িত্বশীল সমাবেশে বিশেষ অতিথির বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও চট্টগ্রাম-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শফিউল আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম হোসেন রনি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি আবু তালেব চৌধুরী, ইপিজেড থানা আমির আবুল মোকাররম, ডবলমুরিং থানা আমির ফারুকে আজম, সদরঘাট থানা আমির মুহাম্মদ আবদুল গফুর, পতেঙ্গা থানা আমির অধ্যক্ষ মুহাম্মদ সেলিম, পতেঙ্গা থানার নায়েবে আমির ড. মাওলানা আব্দুল মোতালেব, শ্রমিক কল্যাণ পতেঙ্গা থানা সভাপতি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ও বন্দর থানা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম আদনান।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাজের সকল স্তরে সৎ, যোগ্য ও দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য খোদাভীরু ও আমানতদার লোকদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সমাবেশে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন জামায়াত নেতা ওসমান গনি ও ছাত্রশিবির নেতা জাহেদুল আলম জয়।