নারীর টাকা ও স্বর্ণালংকার যেভাবে হাতিয়ে নেন
ফেনীর দাগনভূঁইয়া থানার রামনগর এলাকার জাহিদে চৌধুরীর ছেলে জাবেদ হোসেন চৌধুরী প্রকাশ জাহিন চৌধুরী (৪১)। তিনি একজন ভয়ংকর প্রতারক!
সামাজিক যোগাযোগাম মাধ্যমে চট্টগ্রামের এক নারীর সাথে পরিচয় সূত্রে জাবেদ নিজেকে প্রভাবশালী দাবি করে এবং ওই নারীর ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর কথা বলে হাতিয়ে নেন দেড় লক্ষাধিক টাকা।
শুধু তাই নয়, জাবেদ নিজেকে বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো কাস্টমসের কর্মকর্তা, গার্মেন্টস মালিক ও বিসিএস অফিসার দাবি করে নানান কৌশলে ওই নারীর কাছ থেকে আত্মসাৎ করে ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
গত ২০ জুন ভিকটিম নারী কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়েরের পর শনিবার (২১ জুন) ঢাকার মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রতারণার ঘটনাটি জানাজানি হয়।
ভিকটিমের দায়ের করা মামলাতে উল্লেখ করা হয়, প্রতারক জাবেদের সাথে গত ২৮ মে ভিকটিমের পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগাম মাধ্যমে।
কয়েকদিন কথোপকথনে ভিকটিম তার ছেলেকে ঢাবিতে ভর্তির ইচ্ছা পোষণ করলে জাবেদ নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দাবি করে সেখানকার অনেক পরিচিত শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষী আছে, যাদের মাধ্যমে ভর্তি করাতে পারবে বলে জানায়।
এভাবে ছেলেকে ভর্তি করানোর জন্য জাবেদ ভিকটিমের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৬২ হাজার ৬’শ টাকা নিয়ে যায়। তবে ভর্তির কোন কাগজপত্র দিতে পারেনি।
তাছাড়া জাবেদ নিজেকে বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো কাস্টমসের কর্মকর্তা, গার্মেন্টস মালিক ও বিসিএস অফিসার বলে ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে।
পুরনো স্বর্ণালঙ্কারের পরিবর্তে তার অফিসে থাকা ২২/২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ পরিবর্তন করে দিবে বলে কৌশলে তার কাছ থেকে ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ২০ জুন কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন জানান, মামলা তথ্যসূত্র ধরে অভিযুক্ত জাবেদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।
পরে ঢাকার মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে-হাজারী গলির শাহ আমানত জুয়লার্সের বাবুর কাছ থেকে গলিত অবস্থায় ৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসআই ইমরান আরও জানান, জাবেদ এর আগেও বিদেশে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন লোকের পাসপোর্ট তৈরি করে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।