ঈদুল আজহার ছুটির আমেজ শেষ হতে আরও কয়েকদিন বাকি। শহরজুড়ে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে পারে আগামী রবিবার। নগরের কাঁচাবাজার ঘুরলেই চোখে পড়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটির প্রভাব।
আজ শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। মাংস, চালসহ বেশিরভাগ পণ্যের অনেক দোকানই বন্ধ।
চাল, আলু, ডাল, তেল-সব আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিছুটা কমেছে মুরগি। তবে কোরবানি ঈদের আগমুহূর্তের তুলনায় কাঁচা শাকসবজির দাম বেড়েছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। যা ঈদের আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আগের তুলনায় কেজিতে দশ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কাকরোল। আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কাকরোল ক্রয় করা গেলেও এখন তা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া পটল ৩৫ থেকে ৪০, বেগুন ৭০, চিচিঙ্গা ৫০, মুলা ৩০, ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০, লাউ ৫০ থেকে ৬০, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৫০, কচুর মুখি ৫০ থেকে ৬০, ঝিঙে ৫০, শসা ৭০, টমেটো ৮০, গাজর ১২০, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০, বরবটি ৫০, ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে ঈদের আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা কমেছে। ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। শুক্রবারের বাজারে তা কমে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকােকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি কক মুরগি (সোনালি) বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকায়।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী আব্দুল করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের আগে মুরগি বিক্রির চাপ ছিল। দামও বেশি ছিল, এখন আবার কয়েকদিন বাজার স্বাভাবিক। আগামী রোববার ও সোমবার বেচাকেনা বাড়বে।
আরেক বিক্রেতা বলেন, এখন বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানের জন্য মুরগি বিক্রি হচ্ছে বেশি। খুচরা ক্রেতা ঈদের আগে কিনে রেখেছেন, এজন্য দাম কম হলেও বিক্রি নেই।
বিক্রেতা আমিনুল্লাহ জানান, কোরবানির পর মাংসের চাহিদা কমে যায়। এ জন্য মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।
বাজারগুলোতে বেশিরভাগ গরু ও খাসির মাংসের দোকান ছিল বন্ধ। দু-একটি দোকানে আগের মতো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে লাল ডিম ডজন ১২০, সাদা ডিম ১১০, হাসের ডিম প্রতি পিস ১৫ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আগের মতোই মাছের দাম চড়া। বাজারে প্রতিকেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, রুই ৩০০-৩২০ টাকা, পোয়া ৬০০ টাকা, সরপুঁটি ১৫০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, শোল ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা এবং কাতলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানগুলোতে বেশিরভাগ মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৯ টাকায়। প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ২২ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ সপ্তাহের বাজারে।