পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের টুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেছেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের সম্পদ। যেটার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে চট্টগ্রামকে সবাই চেনে। এটি চট্টগ্রামের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রও। ফলে যেকোনো প্রকারে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে সুন্দর রাখতে হবে।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কেউ অসুন্দর করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের বেড়িবাঁধ দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের পর রবিবার (১৫ জুন) সৈকত পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি।
পূর্বের উচ্ছেদ অভিযানের অগ্রগতি এবং বর্তমানে সৈকতের পরিবেশ কেমন রয়েছে তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
পরিদর্শন শেষে জানানো হয়েছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত উন্মুক্ত পরিসর হিসেবে থাকবে। কোনো বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হবে না। কেউ সৈকতকে অসুন্দর করে তুললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধভাবে কয়েক’শ দোকান গড়ে উঠে। এগুলোর জন্য সৈকতের সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে।গত ১১ জুন অভিযান চালিয়ে শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এখানে অবৈধভাবে অনেকে চেয়ার নিয়ে এমনভাবে বসে গেছে মানুষ হাঁটতে পারছিল না। একজন পর্যটক এসে সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে পারছিল না।
তাছাড়া অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব দোকানে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি হতো, যা দর্শনার্থীদের বিরূপ অভিজ্ঞতা দিচ্ছিল এবং সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছিল।
তাই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন পর্যটকরা সৈকতের সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারছেন। এ দৃশ্যটা যেন সবসময় থাকে। এখনো অনেক ময়লা আছে। এগুলো পরিস্কার করা হবে।
মেয়র জানান, উচ্ছেদ অভিযান কাউকে জীবিকা থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে নয়। সুশৃঙ্খল ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সবাইকে সম্মানজনক সুযোগ দিতে চাই।
সৌন্দর্য রক্ষা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে পার্কিং, ঘোড়ার গাড়ি ও অননুমোদিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণেও চসিক কাজ করছে।
তিনি বলেন, সৈকত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও উন্মুক্তই থাকবে। কেউ বেআইনিভাবে দখল করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামবাসীর সম্পদ। এটি বাণিজ্যিক কাজে যেন ব্যবহার না হয়। এটি চট্টগ্রাম ও দেশের মানুষের জন্য উন্মুক্ত পরিসর হিসেবে থাকবে। এখানে যেন ধনী-গরীব সব শ্রেণির মানুষ যেন আসতে পারেন।
পরিদর্শনকালে মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যান ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান,চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও পতেঙ্গা থানা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।