ক্লাব বিশ্বকাপে ইউভেন্তুসকে গুঁড়িয়ে গ্রুপের সেরা হয়েছে কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার বাহিনী। গ্রুপের স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইউভেন্তুসকে ৫-২ গোলে হারিয়ে ‘জি’ গ্রুপের সেরা হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার নবম মিনিটে জেরেমি ডোকুর গোল এগিয়ে দেয় সিটিকে।
দুই মিনিট পরই সমতা ফেরায় ইউভেন্তুস। ২৬তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে আবার এগিয়ে যায় সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেন ও সাভিনিয়োর গোলে উড়ে যায় ইউভেন্তুস।
এই ম্যাচের আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিল দুই দল। গোলপার্থক্যে এগিয়ে শীর্ষে ছিল ইউভেন্তুস। কিন্তু আদতে এগিয়ে কোন দল, তা পরিষ্কার এই লড়াইয়েই।
একরতফা ম্যাচে ৭৭ শতাংশ সময় বল ছিল সিটির নিয়ন্ত্রণে। গোলে ২৪টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখে তারা। ইংলিশ ক্লাবটির সামনে ইতালিয়ান দলটিকে মনে হয়েছে অসহায় ও উদভ্রান্ত।
গুয়ার্দিওলার সবচেয়ে বড় সন্তুষ্টি অবশ্য দলের খেলার ধরনে। হতাশায় ভরা মৌসুম শেষে এই ম্যাচে যেন অবশেষে নিজের দলকে চিনতে পারছেন তিনি।
“যেভাবে আমরা কাজটা করেছি, আমার ভালো লেগেছে। অনেক দিন পর আমরা এত ভালো লেখলাম। বল পায়ে ও বল ছাড়া এমন পারফরম্যান্স অনেক দিন পর করলাম আমরা। ফুটবলাররা দারুণ নিবেদিত ছিল এবং শীর্ষমানের একটি দলকে এভাবে হারিয়ে আমরা খুশি।”
সিটি কোচে বিশ্বাস, এই পারফরম্যান্স দলকে সহায়তা করবে হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে।
“যদিও এটা স্রেফ একটিই ম্যাচ। তবে আমার মনে হয়, ভালো একটি দল আসলে কেমন, এই অনুভূতি আবার পেয়েছে ছেলেরা। বিশ্বাসের জন্ম নেয় সবসময় পারফরম্যান্স থেকে, অতীত থেকে নয়।”
আসরের প্রথম দুই ম্যাচে ভিন্ন দুটি একাদশ নামিয়েছিলেন গুয়ার্দিওলা। দুই ম্যাচেই জিতেছিল তার দল। ইউভেন্তুসের বিপক্ষে তিনি মাঠে নামান দুটির সমন্বয়ে শক্তিশালী দল। এই একাদশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক, চোট কাটিয়ে ৯ মাস পর শুরুর একাদশে ফেরেন রদ্রি।
যদিও পরে তাকে তুলে নেন কোচ। তবে ব্যালন দ’র জয়ী তারকাকে শুরুতে নামাতে পারার উচ্ছ্বাস লুকাননি সিটি কোচ।
“তার অভাব আমরা প্রবলভাবে অনুভব করেছি। সে খুব ভালো করেই জানে বল পায়ে তাকে কী করতে হবে। তার মানসিকতাও দারুণ। আজকে সে এত সময় খেলতে পারবে, এটাও আশা করিনি। পরের ম্যাচের জন্য সে পুরোপুরি তৈরি থাকবে।”
নকআউট পর্বে সিটির প্রতিপক্ষ ‘এইচ’ গ্রুপের রানার্স আপ আল-হিলাল। এ দিন পাচুকাকে হারিয়ে নক আউট নিশ্চিত করে সৌদি আরবের ক্লাবটি।
ইউভেন্তুসের সামনে অপেক্ষায় রেয়াল মাদ্রিদ। রেড বুল সালসবুর্ককে ৩-০ গোলে হারিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হয়েছে শাবি আলোন্সোর দল।