আমেরিকার ভার্জিনিয়া থেকে দিল্লিতে এসে মায়ের সঙ্গে ইদ কাটিয়ে পরদিনই ফিরে গেলেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
শেখ হাসিনার পরিবার বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত শুক্রবার রাতে এক সঙ্গীকে নিয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়া থেকে দিল্লিতে আসেন জয়।
গোপন আশ্রয়ে একমাত্র পুত্রকে সামনে পেয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। অশ্রুসজল চোখে মাকে আঁকড়ে ধরেন জয়ও। পরের দিন আমেরিকায় চলে যায় জয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, মায়ের হাতের মোরগ পোলাও খেতে বড্ড ভালোবাসেন জয়। তাই ঈদের দিন সকালেই রান্নাঘরে হাঁড়ি-হাতা-খুন্তি নিয়ে রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে দুপুরে জয়ের পাতে তুলে দেন নিজের হাতে রাঁধা ছেলের প্রিয় মোরগ পোলাও। সঙ্গে ছিল মাছ, সবজি ও ডাল। জয়ও তারিয়ে তারিয়ে খেয়েছেন মোরগ পোলাও। আর এক টুকরো ‘রান’ (লেগপিস) যাতে নেন ছেলে, মৃদু জোরাজুরিও করেন হাসিনা। জয় বলেন, ‘আর না… আর পারব না, প্লিজ়!’
আরও জানা যায়, গত মার্চের শেষ দিনটিতে ছিল ঈদুল ফিতর। তার আগের দিন দিল্লি থেকে এক জন আমেরিকা যাচ্ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ধরতে যাওয়ার পথে তার হাতে পৌঁছায় একটি ক্যাসারোল।
অতি যত্নে সেটি নিয়ে তিনি পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন ভার্জিনিয়ার ওয়াজ়েদ কনসালটেন্সি ইনকর্পোরেটের কর্ণধার সজিব ওয়াজেদের কাছে।
চওড়া হাসি হেসে সেই পরিচিতজনের হাত থেকে ক্যাসারোলটি গ্রহণ করেছিলেন জয়। আর সেই ক্যাসারোলে ছিলো দিল্লি থেকে পাঠানো শেখ হাসিনার নিজের হাতে তৈরি সেই মোরগ পোলাও।
এদিকে ঈদ কাটিয়ে রবিবারই ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন হাসিনা-পুত্র। দিল্লির উচ্চ মহল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় তার এই ঝটিকা সফরকে ‘একান্তই ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিষয়’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
আর আমেরিকা থেকে জয়ের ঘনিষ্ঠ মহল বলছেন, দিল্লি ও কলকাতায় পূর্ব পরিকল্পনা মতো সফরটি এ মাসের শেষ দিকে হতে পারে। এই ছোট্ট সফরটি একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক হওয়ায় তারা কোনও মন্তব্যই করছেন না।
জয়ের সফরসঙ্গীর কথায়, ‘আমরা আজই ফিরে এসেছি। টেকনিক্যাল কিছু বিষয়ের জন্য এই সফর নিয়ে কিছুই বলা যাবে না।’ তবে এ মাসের শেষ দিকেই আবার দেখা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। সেটা হবে সরকারি সফর।