বিদেশে বসবাসরত ভাষা বা সংস্কৃতি না জানা ইতালীয়দের বংশধররা এখন আর সহজে নাগরিকত্ব পাচ্ছেন না।
ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এ নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। তবে এর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দেশটির অনেক আইনপ্রণেতা।
পূর্বপুরুষ ইতালীয় হলে ভিন্ন দেশে জন্ম ও বসবাস করলেও ইতালির নাগরিক হওয়ার সুযোগ ছিল।
১৮৬১ সালের আইনের সংস্কার গত বুধবার অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ। এখন তা উচ্চকক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায়। এরপর গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর হবে নতুন বিধান।
এতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালীয় নাগরিকরা আর আগের মতো তাদের বংশধরদের জন্য নাগরিকত্বের সুযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন না।
ইতালীয়রা মনে করেন, আগের মতোই নাগরিকত্বের সুবিধাটি দেয়া উচিত। একজন বলেন, ‘আমি মনে করি এই নাগরিকত্ব প্রদানের সুবিধাটি দেয়া উচিত। তবে নাগরিকত্ব পেয়ে তারা যেন ইতালিতে থাকে এবং দায়বদ্ধতা থাকে।’
অন্য আরেকজন বলেন, ‘আমি চাই বিদেশিদের নাগরিকত্ব প্রদানের সুবিধা দেয়া হোক। কিন্তু নাগরিকত্ব যেন শুধুমাত্র ইতালি থেকে সহজে অন্য দেশে না যাওয়ার কাজে লাগানো হয়। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে যেন কাজ করে।’
১৯৯২ সাল থেকে ‘ইয়ুস সাঙ্গুইনিস’ নীতি বা রক্তের অধিকারের মাধ্যমে দুই প্রজন্মের জন্য নাগরিকত্বের সুবিধা ছিল। যাদের কমপক্ষে একজন পিতা-মাতা, দাদা-দাদি ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে নতুন আইনে সেই সুবিধার সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট করা হয়েছে।
যদিও ২৭ মার্চ মধ্যরাতের আগে যারা বিদেশ থেকে আবেদন করেছেন, তারা আগের আইন অনুযায়ীই নাগরিকত্ব পাবেন।