সিএসপি ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্র সম্পদ এখন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। বিশাল সমুদ্রের সম্পদ আহরণ করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য সুনীল অর্থনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও গবেষণা দরকার। আমরা সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করেছি।
রোববার (১০ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দফতরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় বাহিনীতে সংযোজিত ভি-স্যাটনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কোস্টগার্ডের সদর দফতরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের হাতে পদক তুলে দেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করার মাধ্যমে কোস্টগার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কোস্টগার্ডে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সরঞ্জাম যুক্ত করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনীর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর সব প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। তিনিই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন করেছিলেন। ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল। সমুদ্রসীমার যে অধিকার আছে, এ ব্যাপারে কেউ কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আজ সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে।
কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্টগার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইজ নির্মাণ করা ও অত্যাধুনিক নৌযান সংযোজনে কোস্টগার্ড সদস্যরা এখন অনেক দক্ষ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাচ্য-পাশ্চাতের মধ্যে সেতুবন্ধ করতে পারে বাংলাদেশ। সে জন্য সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা বিধান একান্তভাবে দরকার। সব বাহিনীকেই আধুনিক স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
সিএসপি/বিআরসি