Logo
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে জেলা সিভিল সার্জন  লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন জেলা সিভিল সার্জন স্কুল ছাত্র হত্যাঃ লোহাগাড়ায় ৬ জনকে আসামী করে মামলা, একজন আটক লোহাগাড়ায় শ্রমিকদলের জরুরি সংবাদ সম্মেলন ছাত্রশিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লোহাগাড়ায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ লোহাগাড়ায় ছুরিকাঘাতে স্কুল ছাত্র খুন লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কর্মসূচি কার্যক্রম পরিদর্শনে ডেনমার্কের বিশেষ প্রতিনিধি দল সাংবাদিক নেতার পরিবারে উপর নির্যাতন! জড়িতদের বিচার দাবি সাংবাদিক মহলের দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে লোহাগাড়ায় বিএনপির আনন্দ মিছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে লোহাগাড়ায় আনন্দ মিছিল

বিএনপির মুখে ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায় : প্রধানমন্ত্রী

সিএসপি ডেস্ক:

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার খুব হাসি পায়, যখন দেখি বিএনপি ভোটের কথা উচ্চারণ করে, নির্বাচনের কথা বলে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এ দেশের ভোটের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিল। তার সেই হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে যাত্রা শুরু; অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য।

একাধারে সেনাপ্রধান, তারপর আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রহসন। ক্ষমতার মসনদে বসেই দল গঠন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলটি গঠন করে, তাকে আবার জিতিয়ে আনার জন্য ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়া এ দেশের শুরু করেছিল, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের পরে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদ ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এ দেশের কৃষক-শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিতই থেকে যায়। এরপর আসলো খালেদা জিয়া। সেও ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, শুধু জনগণের ভোট চুরি করাই না, দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলে; সার পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক আন্দোলন করেছে। আন্দোলন করার অপরাধে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। শেখ হাসিনা সে সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন উল্লেখ করে বলেন, খালি কৃষক কেন! রোজার দিনে শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে যখন আন্দোলন করে তখনো প্রায় ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল এই খালেদা জিয়া। বিদ্যুতের দাবি করেছিল কানসাটে; কৃষকরাই সেচের জন্য পানি পাচ্ছিল না। সেখানেও নয়জন মানুষকে হত্যা করা হয়। তাদের এই অপকর্মের ফলে যখন জনগণ তাদের ওপর বিতশ্রদ্ধ, সেই সময় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটা প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়, খালেদা জিয়া সেই নির্বাচনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে। মাত্র ২২ শতাংশ ভোট পড়েছিল সেখানে। সরাসরি নির্বাচিত কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। কিন্তু জনগণের ভোট চুরি করলে কেউ কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ এ ব্যাপারে খুব সচেতন।

আন্দোলনের নামে বৃক্ষনিধন করেছে বিএনপি-জামায়াত। তারা সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির টাকাও মেরে খেতো বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি জমি কেউ নষ্ট করতে পারবে না। কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্পায়ন করা যাবে না। বিশেষ করে তিন ফসলি জমিতে কোনও শিল্প কল-কারখানা করা যাবে না। আমাদের যেন কারও কাছে হাত পেতে চলতে না হয়। এজন্য কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর  জন্য তিনি আহ্বান জানান।

সিএসপি/বিআরসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ