Logo
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেফতার-২ চট্টগ্রামে ৪৩ মাস পর জামিনে মুক্ত বাবুল আক্তার এডভোকেট সাইফুলের হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত বিচার আমরা করবইঃ অ্যাটর্নি জেনারেল আইন  কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে পিসিএনপি’র গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ড. কর্ণেল অলি আহমদ বীর বিক্রম গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে লোহাগাড়ায় প্রস্তুতি সভা ভবন থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ার কে দেখতে গেলেন প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ চকরিয়ায় বাসের ধাক্কায় লোহাগাড়ার ব্যবসায়ীর মৃত্যু দুষ্কৃতিকারীরা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে-সিভাসু উপাচার্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে -ছাত্রশিবির সভাপতি

দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে আমরা আঙুল চুষব না: কাদের

oplus_2

সিএসপি ডেস্ক:

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে আমরা আঙুল চুষব না। কোনও আক্রমণ এলে বাংলাদেশ ছেড়ে কথা বলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৯ জুন) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আযহা পরবর্তী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই এমন তোপ দাগেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিএনপি অভিযোগ করেছে সেন্ট মার্টিন ইস্যুতে সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলের একটা ভাষা আছে সরকারি দলের সিদ্ধান্তকে তারা নতজানু আখ্যায়িত করে। কিন্তু কীভাবে নতজানু, সেটা একটু ব্যাখ্যা করে দিক না। সেন্ট মার্টিনে যে গুলিটা এসেছে, সেটা মিয়ানমার সরকার করেনি। এটা আরকান আর্মি নামে যে বিদ্রোহীরা আছে, তাদের গুলি। যেকোনো উস্কানির মুখে বাংলাদেশ যুদ্ধে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনায় সমাধানে বিশ্বাসী। সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হয়, সে জাহাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মিয়ানমার উস্কানি দিলে আমরা তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করবো। একটা সমাধান বের করবো। যুদ্ধে জড়াব না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি যুদ্ধে জড়াতে চান, তাহলে উস্কানির ফাঁদে আমরা পড়তে পারি? আমরা সরকারে আছি, আমাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই ব্যথা লাগবে বেশি। কারণ, এ জাতির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার লড়াইয়ে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ফখরুল তখন (মুক্তিযুদ্ধের সময়) কী করেছেন, কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, তা জানি না। এসব কথা বলে লাভ নেই। সার্বভৌমত্ব ঠিক আছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে, আলাপ-আলোচনার সময় পেরিয়ে যদি যায়, যদি সত্যিই তারা আক্রমণে আসে, তখন কী আমরা বসে থাকব, আমরা বসে বসে আঙুল চুষবো? আমাদেরও পাল্টা জবাব দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও কোনও আক্রমণ দেখিনি। তাদের (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ ৫৪টি গোষ্ঠী আছে। ওদের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা। আমরা সীমান্তে আছি, গুলি এসে লাগতে পারে, গুলির আওয়াজ আসতে পারে, এটা সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। তাদের নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহীরা আছে। তাদের থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে। সেটার জন্য কেন মিয়ানমার সরকারকে দায় দেব? যতদিন সম্ভব শেষ পর্যন্ত আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করবো।

সিএসপি/বিআরসি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ