বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
৩১দফা বাস্তবায়নে রাষ্ট্র কাটামো মেরামতের জন্য তারেক রহমানের ম্যাসেজ ইউনিয়নে,ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দিতে হবে লোহাগাড়ায় রিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সভা চুনতিতে ট্রেনের ধাক্কায় আহত বন্যহাতি! বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে বড়হাতিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু লোহাগাড়া সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশ লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী লোহাগাড়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী লোহাগাড়ায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে জামায়াত নেতারা লোহাগাড়ায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন পরিদর্শনে বিএনপির নেতারা

আওয়ামী লীগ বৃক্ষ রোপণ করে আর বিএনপি ধ্বংস করে: শেখ হাসিনা

সিএসপি ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বৃক্ষ রোপণ করে আর বিএনপি আন্দোলনের নামে সেগুলো ধ্বংস করে। আমাদের বৃক্ষরোপণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

বুধবার (৫ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৪ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এবং পরবর্তী দুই বছর এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। ২০১৩ সালে সরকার উৎখাতের আন্দোলনের নামে মানুষকে হত্যা করা হয়। বাস, ট্রাক, গাড়ি, রেল, লঞ্চ আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয় আর বৃক্ষ নিধন করা হয়। লাখ লাখ বৃক্ষ কেটে ফেলে দেয় জামায়াত-বিএনপি। আমরা যেসব গাছ লাগিয়েছি সেগুলো তারা ধ্বংস করেছে। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের জন্য ১৯৮৪ সালে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেয় এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। মূল দল আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেকটা সদস্য বৃক্ষরোপন করবে। আমাদের নির্দেশ ছিল এবং সেই নির্দেশনা আমরা এখনও পালন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে দেশকে আমরা মুক্ত করতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে পদক্ষেপগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ কর্মসূচি পালন করেন। বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউ বন সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করে দিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালের আরেকটি কাজ করেছেন তিনি। আমাদের পার্বত্য এলাকা এবং চরাঞ্চলে হেলিকপ্টার দিয়ে বীজ ছড়িয়ে দেয়া হয়। এখনও আমাদের এয়ারফোর্স, নেভি, কোস্টগার্ড, আর্মি, সকলের প্রতি নির্দেশ রয়েছে প্রত্যেকের নিজের জায়গায় ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করবে। সেটা তারা করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্লাস্টিক এখনো ব্যবহার হয়, তবে একটা সুখবর হলো পাট থেকে এক ধরনের ব্যাগ এবং জিনিস তৈরি হচ্ছে। সেটা আমাদের একজন বিজ্ঞানী মোবারক সাহেব আবিষ্কার করেছেন। সেগুলো পরিবেশ দূষণ করবে না। এগুলো মাটির সাথে মিশে যাবে। এগুলো যাতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হয় সেজন্য ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত করা হয়েছে।  পাট আমাদের সোনালি আঁশ। পাট থেকে আমরা পরিবেশবান্ধব অনেক কিছু তৈরি করতে পারি। যা আমাদের পরিবেশকে আরও সুরক্ষা দেবে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সিএসপি/বিআরসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ