সিএসপি ডেস্কঃ
গোপনীয়তা বজায় রাখতে চেয়েও পারলেন না কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী । সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তারা। একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই নতুন জীবন শুরু করেছেন দুজনে।
শনিবার (২ মার্চ) দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্সটন ক্লাবে বসেছিল তাদের বিয়ের আসর।
তবে রোবরাতে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরেই কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শ্রীময়ী নিজেও তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতা থেকে বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন। রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে বিয়ের ছবি ভাগ করে নিলেন কাঞ্চন। এসময় শ্রীময়ীকে নিয়ে লিখলেন তার মনের কথা।
কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর অসমবয়সি প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। এখনও পর্যন্ত তা থামেনি। কাঞ্চনের থেকে ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ী। দুজনের বয়সের ফারাক নিয়েও গণমাধ্যমে ব্যঙ্গবিদ্রুপের ঢল নেমেছে। প্রেম দিবসে দু’জনের আইনি বিয়ের পর থেকে এ সব আরও বেশি করে শুরু হয়েছে। তবে সমালোচনা কিংবা ‘ট্রোলিং’কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ভালবাসায় প্রভাব ফেলেনি। রেজিস্ট্রি বিয়ের দিনকয়েক পরে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘খুব ভালবাসি তোকে। এ ভাবেই ভালবাসা দিয়ে চিরটাকাল আগলে রাখিস আমায়।’অন্যদিকে শ্রীময়ীও লিখেছিলেন, ‘মিস্টার মল্লিক, আমার ভালবাসা, তুমি শুধুই আমার।’
বিয়ের পর বাসর ঘরেও কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ভালবাসার প্রকাশ দেখা গিয়েছে। সিঁদুর পরা শ্রীময়ীকে দেখে সোহাগে-আদরে ভরিয়েছেন কাঞ্চন। সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীর গালে এঁকে দিয়েছেন গাঢ় চুম্বন। বিয়ের পরের দিন দুপুরে স্ত্রীর জন্য দুলাইন কবিতা লিখলেন কাঞ্চন। বেশ কয়েকটি বিয়ের ছবি পোস্ট করে কাঞ্চন কবীর সুমনের গানের লাইন ধার করে লিখলেন, ‘বন্ধু তোমার ভালবাসার স্বপ্নটাকে রেখো। বেঁচে নেবার স্বপ্নটাকে জাপটে ধরে থেকো।’
সিএসপি/বিআরসি