Logo
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন

বি.এন.পির লং মার্চের সমর্থনে জনগণের জোয়ার

সি.এস.পি. ডেস্ক: বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ভারতের অভিমুখে লং মার্চের সমর্থনে জনগণের জোয়ার।

আজ বুধবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নায়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে থেকে লং মার্চটি শুরু হয়। এরপর তা পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভার হয়ে চিটাগং রোড, কাঁচপুর মোড়, ভুলতা, গাউছিয়া, মারজাল-বারুইচা হয়ে দুপুর পৌনে ১টায় ভৈরবে পৌঁছায় এই লং মার্চ।

তিন সংগঠনের নেতাররা সেখানে বক্তব্য শেষে দুপুর দেড়টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেয় লং মার্চ।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। আখাউড়ায় গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই লং মার্চ।
দুপুর ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ওপর দিয়ে লং মার্চ আখাউড়ার দিকে যাওয়ার সময় কথা হয় ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদের সঙ্গে। তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, পথে পথে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও গাড়িবহর নিয়ে লং মার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
তাদের সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়ে সমর্থন ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। দেশের মানুষ আজ ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
লং মার্চে থাকা কয়েক নেতাকর্মীরা জানান, পথে পথে দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন, এমন সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ও তাদের নামেও স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে।
ভৈরবে পথসভায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের শত্রু শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যে আমাদের দেশের শত্রুকে আশ্রয় দেয় সেই ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ পাশাপাশি রাষ্ট্র। আমরা বলেছি, ভারত বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে আমাদের হাইকমিশনারে হামলা হয়েছে।
পতাকা পুড়িয়েছে। সীমন্তে আমাদের দেশের নাগরিকদের গুলি করে মারছে। ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারের ঝুলিয়ে রাখে। এটা কোনো বন্ধুরাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না। ভারত একটি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র। ভারতের আশীর্বাদে এ দেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিতি হয়েছিল।’ এখন হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘দেশের ২০ কোটি মানুষ আজ ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারাও রাজপথে থেকে প্রতিবাদ করুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ