সিএসপি ডেস্ক:
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু বলেন, আমাদের রোজাদাররা যেন একটু স্বস্তিতে রোজা রেখে ইফতার করতে পারে। সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি। আমরা শপথ নেয়ার পর থেকে আমাদের লক্ষ্য ছিল দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনাই আমরা সফলভাবে অনুসরণ করছি।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুলিশ দিয়ে নয়, সরবরাহ তৈরি করেই দাম কমাব। বাজার স্টক করে, ভোক্তা পর্যায়ের ন্যায্য মূল্যে পণ্য সাপ্লাইয়ের জন্য স্থায়ী দোকান করার পাশাপাশি আমাদের ট্রাক সেল কার্যক্রম চলমান রাখতে চাই।
আমরা পেঁয়াজ বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও আনার কথা দিয়েছিলাম। ভারত সরকার আমাদের সাহায্য করেছে। আমরা ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করব। ইতোমধ্যে ১৬ হাজার ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছি। যা আজ ১০০টি ট্রাকে উন্মুক্ত বিক্রয় হচ্ছে।
তবে এই পেঁয়াজ আনতেও আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। যা আমরা জয় করেছি। পেঁয়াজটা কীভাবে আসবে। আসতে কতদিন লাগবে এটা পরিকল্পনা করাই ছিল চ্যালেঞ্জ। প্রতিকূলতা এড়িয়ে পেয়াঁজ পাওয়ার একটা কারণ ছিল আমাদের আত্মবিশ্বাস। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় রেখে আমদানি-রপ্তানি আমরা ভোক্তা সাধারণ মানুষের জন্য করতে চাই। সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ আমদানির পরে এক রাতেই পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হয়েছে। শুধু পেঁয়াজ না। তেলের জায়গা ঠিক রেখেছি। তেলের দাম নির্ধারিত মূল্যের নিচে বিক্রয় হচ্ছে। চিনিও নির্ধারিত মূল্যের নিচে বিক্রয় হচ্ছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ১২ মাসই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থায় যাব। আমদানি আগে থেকে করে প্রয়োজন মত সরবরাহ করব। তাতে আমাদের বাজার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কৃষকরাও বাঁচবে। ন্যায্যমূল্য পাবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তুষার কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সিএসপি/বিআরসি