সিএসপি ডেস্ক:
বাংলাদেশ এখন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, সরকার পরিকল্পিতভাবে এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র তখনই ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যায়, রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
এ সময় তিনি বলেন, সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট উতরে যায়নি, আরও বেড়েছে।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন ঢাকা সফর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, কে এলো তাতে ইন্টারেস্ট (আগ্রহ) নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে।
ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপির বহু নেতা-কর্মীকে একতরফা সাজা দিয়েছে আদালত। এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে বিএনপি। বিনা শুনানিতেও সাজা দিয়েছে সরকার। এখনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা কারাগারে রয়েছেন। চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিরাজনীতিকরণ করতে দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসার জায়গা হচ্ছে কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
দেশে প্রবেশের সময় আমদানি পণ্যের মান যাচাই করা উচিত মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ম্যান্ডেটহীন সরকার তা করবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। এ সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই, কোনো ম্যান্ডেট নেই। তাদের ভেতরে দম্ভ কাজ করছে। কারণ তাদের জনগণের কোনো দরকার নেই।
সিএসপি/বিআরসি