সিএসপি ডেস্কঃ
ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে দু’চারটি এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন সিইসি।
এসময় তিনি বলেন, ২৩১টি ভোট হয়েছে। অধিকাংশই উপ-নির্বাচন। ময়মনসিংহে পূর্ণাঙ্গ, কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন। সকাল ৮টায় নির্বাচন শুরু হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দু’চারটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ১৮টি অপ্রীতিকর ঘটনায় ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কুমিল্লায় উল্লেখযোগ্য দুই-একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচনটা ম্যানেজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছি।
সিইসি আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি যে, প্রভাব খাটানো হয়েছে এবং হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট প্রভাবিত হয়নি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীই কম বেশি শক্তি প্রয়োগ করেছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যারা এই কাজটি করেছে তাদের আটক করা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, যাকে পাওয়া যায় তাকেই যেন আটক করা হয়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাইনি। কুমিল্লায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ময়মনসিংহে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল চারটার পরও ওখানে একটা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যে ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা হয়। সার্বিকভাবে আমরা বলতে পারি ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
বরগুনার আমলতীতে ৬০ শতাংশের মতো, পটুয়াখালীতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে এখানে নির্বাচন হয়েছে। প্রত্যাশিত সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোনোকিছু বন্ধ হয়নি।
সিএসপি/বিআরসি