Logo
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে জেলা সিভিল সার্জন  লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন জেলা সিভিল সার্জন স্কুল ছাত্র হত্যাঃ লোহাগাড়ায় ৬ জনকে আসামী করে মামলা, একজন আটক লোহাগাড়ায় শ্রমিকদলের জরুরি সংবাদ সম্মেলন ছাত্রশিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লোহাগাড়ায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ লোহাগাড়ায় ছুরিকাঘাতে স্কুল ছাত্র খুন লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কর্মসূচি কার্যক্রম পরিদর্শনে ডেনমার্কের বিশেষ প্রতিনিধি দল সাংবাদিক নেতার পরিবারে উপর নির্যাতন! জড়িতদের বিচার দাবি সাংবাদিক মহলের দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে লোহাগাড়ায় বিএনপির আনন্দ মিছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে লোহাগাড়ায় আনন্দ মিছিল

মতিউর ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

সিএসপি ডেস্ক:

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদ্য সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের জায়গা জমির তথ্য চেয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৩০ জুন) দুদকের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয় বলে সংস্থাটির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে, দুদকের আবদনের প্রেক্ষিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী কলেজশিক্ষক লায়লা কানিজ এবং পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, ড. মতিউর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্যের একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, গত ৪ জুন মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে দুদকের একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। দলের সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন।

এছাড়া আলোচিত মতিউর রহমানকে গত ২৩ জুন এনবিআর থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এবার কোরবানির ঈদে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত। তারপরই আলোচনায় আসে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ, আয় ও ব্যয়ের তথ্য। এনিয়ে খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খোদ এনবিআরও তার আয়কর রিটার্নে দেয়া তথ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।

মূলত মতিউর রহমান কাস্টমস কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকার সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুদকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে একাধিক আবেদন জমা পড়ে।

সাধারণ একজন চাকরিজীবী হয়েও এ পর্যন্ত শতকোটি টাকা সাদা করেছেন। বসুন্ধরায় দুই কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং ধানমন্ডিতে ৫ কাঠায় আলিশান ৭ তলা বাড়ির মালিক। যার মূল্য ৪০ কোটি টাকা। ভালুকার সিডস্টোর এলাকার পাশেই প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ওপর গ্লোবাল জুতার ফ্যাক্টরি। এ ছাড়া রয়েছে ৬০ শতাংশ জমি।

জেসিক্স নামে একটি যৌথ ডেভেলপার কোম্পানি রয়েছে। বসুন্ধরার ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন আছে। গাজীপুর সদরে ৮টি খতিয়ানে ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। তার স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে সাভার থানার বিলামালিয়া মৌজায় ১৪.০৩ শতাংশ, গাজীপুর থানার খিলগাঁও মৌজায় ৬২.১৬ শতাংশ জমি রয়েছে।

ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে ১৪.৫০ শতাংশ জমি আছে গাজীপুরে। যার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা। তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে আছে একাধিক দামি গাড়ি। তার নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০ কোটি টাকার বেশি এফডিআর করা আছে। তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। বিভিন্ন নারীর সঙ্গেও তার সম্পর্ক আছে।

সিএসপি/বিআরসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ