Logo
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিতে শেষ হলো ‘মার্চ ফর গাজা’

ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে। শেষ হয়েছে ফিলিস্তিনির পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল সোয়া তিনটায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বিকেল সোয়া ৪টায় মুফতি আব্দুল মালেকের পরিচালনায় মোনাজাতের মাধ্যমে এই গণজমায়েত শেষ হয়।

লাখো মানুষের হৃদয়ে জেগে ওঠে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও একাত্মতার অনন্য বার্তা।

সমাবেশে অতিথিদের মঞ্চে আহ্বান জানানো হলেও তারা কোনো বক্তব্য দেননি। ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

ঘোষণাপত্রে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বানও জানানো হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী, জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

বিএনপির পক্ষ থেকে আরও অংশ নিয়েছিলেন যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ।

আরো উপস্থিত ছিলেন -জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল করিম ও দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মাদ আবদুল মালেক।

আজ সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশের জেলা থেকে লোকজন আসতে শুরু করেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে।

কাওরান বাজার মোড়, বাংলামোটর, কাকরাইল মোড় এলাকা থেকে দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছে মানুষ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত ও বাইরের জেলা থেকে বাস, মিনি ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহনে করে মানুষ এসে জড়ো হন। পরে তারা পায়ে হেঁটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শুরুসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শুরু
সমাবেশে অংশ নেয়া অনেকের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং ফিলিস্তিনি পতাকা দেখা গেছে। কেউ কেউ কালেমা খচিত ফিতা মাথায় বেঁধেছিলেন।

অংশগ্রহণকারীরা ইসরাইলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যান। পাশাপাশি জাতিসংঘের কাছেও জবাবদিহি দাবি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ