সিএসপি ডেস্ক:
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা এমবি আবদুল্লাহ জাহাজটির বেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে ইইউ নেভাল ফোর্সের জাহাজটি। পাশাপাশি তাদের হেলিকপ্টার ঘন ঘন চক্কর কাটছে জিম্মি জাহাজটি ঘিরে।
প্রসঙ্গত, সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইইউএনএভিএফওআর।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মধ্যরাতে নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ‘অপারেশন আটলান্টা’।
এরমধ্যে একটি ছবিতে ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহর খুব কম দূরত্বকেই নির্দেশ করে।
অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টারকে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়।
এর আগেই গত ১৪ মার্চ এক বিবৃতিতে ইইউ নেভাল ফোর্স জানায়, ‘অপারেশন আটলান্টা’র আওতায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। বাংলাদেশি ও সোমালিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে তারা।
এরপর ১৮ মার্চ রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারে একযোগে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা।
তবে, নাবিকদের নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ এবং সরকার। তাই এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম তখন বলেছিলেন, আমরা ইইউ নেভাল ফোর্সকে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দিইনি। তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করছি, কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক ও ক্রুদের কোনও ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়।
এ ছাড়া ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে ‘মধ্যস্থতাকারী’ নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ।
এরই মধ্যে জানা গেছে, ইইউ নৌবাহিনীকে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জলদস্যুরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, ইইউ নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি-টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে তারা।
সিএসপি/বিআরসি