সিএসপি ডেস্কঃ
গুজব প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কৌশলে কাজ করতে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় তিনি সাইবার নিরাপত্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে চারটি কৌশল অনুসরণের পরামর্শ দেন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, সরকার এবং জনগণের মধ্যে মাঠপর্যায়ে সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করেন জেলা প্রশাসকরা। একদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, অন্যদিকে উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকি করা। উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের যে দায়িত্ব রয়েছে, সেই বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা কী কী করতে পারি এবং তাদের কী প্রত্যাশা আমাদের কাছে, তাদের কী প্রয়োজন আছে ও তাদের কাছে আমাদের কী প্রত্যাশা-এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিসিরা বলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ করা, যখন পরীক্ষা হয়, তখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া, না হওয়া অথবা ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে যখন সাইবার বুলিং ও সাইবার ক্রাইম হয় সেই বিষয়ে তাদের (ডিসি) উদ্যোগ কী হতে পারে, সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তারা কী ধরনের সহযোগিতা পেতে পারেন সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, আমাদের সাইবার নিরাপত্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ করার জন্য আমরা তাদের চারটি কৌশলগত বিষয়ে সচেতনভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।
প্রথমত, ডিজিটাল ও এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) লিটারেসি সচেতনতা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। তৃতীয়ত, যেসব আইন রয়েছে, সেগুলোর শক্ত প্রয়োগ করা। চতুর্থ, পুলিশ প্রশাসন যাতে একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে। এই চারটি কৌশল আমরা বলেছি, সাইবার সিকিউরিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব প্রতিরোধের জন্য বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, ডিসিদের আরেকটি চাহিদা ছিল, জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য সেল স্থাপন করা। সেটা আমরা বিটিসিএল এবং ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম থেকে বিভাগ এবং জেলা পর্যায়ে আইসিটি সেল স্থাপনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছি। পাশাপাশি আমাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যে আইসিটি ও আইসিটি কমিটি আছে, তারা যেন মাসে মাসে মিটিং করে বিভিন্ন ধরনের সাইবার ও ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিস প্রতিরোধের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগগুলো পাঠায়। যাতে আমরা সেসব অপরাধমূলক কার্যক্রমগুলো প্রতিরোধ করতে পারি।
সিএসপি/বিআরসি