সিএসপি ডেস্ক:
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের নাগরিকেরাও জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে হত্যাকাণ্ডে শুধু বাংলাদেশিরাই জড়িত বলে জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) পুলিশের সদর দপ্তর ও ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতীয় নাগরিকদের পরিচয় এখন পর্যন্ত শনাক্ত করায় যায়নি বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র। তারা জানিয়েছেন, আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে ৫ থেকে ৬ জন অংশ নিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। তারা হলেন- এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ ও ফয়সাল।
এদিকে, আমানউল্লাহ আমানের এক বান্ধবী সিলিস্তি রহমানের নামও সংসদ সদস্য হত্যাকাণ্ডে উঠে এসেছে। তবে তাকে এখনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
সংসদ সদস্য হত্যাকাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে এবং রহস্য উদঘাটনে ভারতীয় পুলিশের এই বিশেষ দল আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কখন তারা এসে পৌঁছাবেন, তা জানা যায়নি।
ডিবি সূত্র জানায়, পাঁচ কোটি টাকার চুক্তিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান ভাড়াটে খুনিদের এমপি আজীমকে হত্যার দায়িত্ব দেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম।বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীমের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায় কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন।
আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মামলার এজাহার দায়ের করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। এটি নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। আনোয়ারুল আজীম আনার একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার এলাকার সাধারণ মানুষ স্তম্ভিত। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি তিনবারের সংসদ সদস্য। নিবিড়ভাবে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কয়েকজন আমাদের কাছে আটক আছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা সবকিছু বলতে পারছি না।
সিএসপি/বিআরসি