সিএসপি ডেস্ক:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটি জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ জিতলেও প্রভাব ছিল বোলারদের, ব্যাটাররা তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইট খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া, ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয় বড় ব্যবধানে। তারপরও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১২.১ ওভারে ১১৬ রান কঠিন কোন লক্ষ্য নয়। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। পায়নি সান্ত্বনার জয়টুকুও। এমন হারে নিশ্চিতভাবে দায় সেই ব্যাটারদেরই।
মঙ্গলবার আফগানদের কাছে ৮ রানের এই হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভক্ত-সমর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ‘সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট নিয়ে বলবো, দল হিসেবে পুরো বাংলাদেশের সমর্থকদের হতাশ করেছি। যারা আমাদের খেলা দেখেন, সব সময় আমাদের সমর্থন করেন, তাদের আমরা হতাশ করেছি। আমি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী।’
ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে শান্ত বলেছেন, ‘আমরা ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দেশের মানুষকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। সামনের দিকে আমাদের এটাই চেষ্টা থাকবে, কীভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি।
সমর্থকদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে না পারলেও তাদের দিক থেকে চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না বলে জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘ইতিবাচক দিক অবশ্যই বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ (হোসেন) এরকম একটা প্রতিযোগিতায় এসে সবগুলা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। তো বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। তবে ব্যাটিংয়ের দিক থেকে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। দেশের মানুষকে বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। তবে এটাও আমি বলতে চাই চেষ্টার কমতি ছিল না। শতভাগ দিয়ে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের কাজে সৎ ছিল। তবে দিন শেষে আমরা পারিনি। তাই এটার জন্য ক্ষমা চাইছি।
আফগানদের কাছে হারটা মেনে নিতে পারছেন না শান্ত। ৮ রানের এই হার বাংলাদেশের অধিনায়ককে ভীষণ পোড়াচ্ছে, ‘হার অনেক হতাশার এবং অনেক কষ্টেরও। এই ম্যাচ খেলতে আসার আগে সবারই পরিকল্পনা ছিল ম্যাচটা আগে আমরা জিতবো। কিন্তু যদি সে রকম পরিস্থিতি হয়, ওই সুযোগটা আমরা নেবো (সেমিফাইনালের সমীকরণ)। যেটা আমাদের হাতে ছিল, সেটা নিতে পারিনি। পুরো ব্যাটিং গ্রুপই বাজে বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সিএসপি/বিআরসি