বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
লোহাগাড়ায় শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লোহাগাড়ায় চোরাইকৃত ৩টি সিএনজি উদ্ধার,আটক ১ কলাউজান আদার চর ইমাম আবু হানিফা (রহ.) আদর্শ মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের অভিভাবক সম্মেলন পদুয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিটি পুজামন্ডপে পাহারায় থাকবেঃ নাজমুল মোস্তফা আমিন বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লোহাগাড়ায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন,চ্যালেঞ্জ করে ইসলামের শ্রেষ্টত্ব প্রমাণ করতে পেরেছেনঃ সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন লোহাগাড়ার সন্তান ডাঃ মাহমুুদুর রহমান লোহাগাড়ায় ১৮দিন ব্যাপী ১৮হাজার ছাগল ও ভেড়াকে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা ক্যাম্পেইন মাইজবিলা অলি আহমদ বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাত্তন ছাত্র পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন

আনার হত্যাকাণ্ড, শতভাগ সফলতা নিয়েই বাংলাদেশে ফিরছি: ডিবি প্রধান

সিএসপি ডেস্ক:

কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে ইতোমধ্যে এক নারীসহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে ওয়াটার থিওরি ব্যবহার করেছি। আমরা সিআইডি পুলিশকে রিকোয়েস্ট করেছি। আসামিদের ব্যবহৃত কমোড, সেপটিক ট্যাংক চেক করতে বলেছি। সেখান থেকেই মরদেহের অনেক অংশ উদ্ধার হয়েছে। যে উদ্দেশে এসেছিলাম আমরা কিন্তু একশ ভাগ সফলতা নিয়েই বাংলাদেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনা তদন্ত করছে ভারত এবং বাংলাদেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। এই খুনের রহস্য উদঘাটনে বেশ কয়েকদিন ধরেই কলকাতার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ও তদন্ত করেছে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে বাংলাদেশের উদ্দেশে নিউটাউনের একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে বেরিয়ে যান ডিবিপ্রধান হারুন এবং গোয়েন্দা প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা। কলকাতা ছাড়ার আগে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ডিবিপ্রধান হারুন।

এ সময় তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংস এমপি আনারের মনে করা হলেও এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট জরুরি। আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইডিকে চিঠি দিয়ে এসব মাংসের টুকরো বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উদ্ধার করা মাংস এমপি আনারের মরদেহের কি-না তা পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল) নমুনা পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টও করা হবে। সেক্ষেত্রে এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফিরদৌস ডরিনকে কলকাতায় ডাকা হতে পারে। ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা সিআইডিকে অনুরোধ জানিয়েছি এই পরীক্ষাগুলো যেন দ্রুততার সঙ্গে করা হয়। ডিএনএ টেস্ট করার জন্য এমপি আনারের কন্যা ডরিন শিগগির কলকাতা আসবেন। ভারতে আসার জন্য সম্ভবত তিনি ভিসাও পেয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসে গোয়েন্দা প্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। কলকাতা থেকে তারা যান নিউটাউন থানায়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) সঙ্গে নিয়ে তারা কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল পরিদর্শন করেন। এরপর যথাক্রমে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস, সিআইডি ভবন, হাতিশাল খালসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, সিআইডি এডিজি আর রাজাশেখরণের সঙ্গেও কথা বলেন ডিবিপ্রধান হারুন।

তিনি বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে কলকাতা এবং বাংলাদেশে দুটি জায়গায় মামলা হয়েছে। সে কারণেই তদন্ত করতে আমরা কলকাতায় এসেছি এবং সিআইডির প্রতিনিধি দলও তদন্তের স্বার্থে বাংলাদেশে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে মূল ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছি। তারা অনেক কিছুই স্বীকার করেছে। কীভাবে তারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল, বাংলাদেশের কোথায় কোথায় তারা বৈঠক করেছে, কলকাতায় এসে কোন কোন বাসায় ছিল, তারা কি কি কাজ করেছিল, এগুলো যাচাই-বাছাই করার দরকার ছিল।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, বাংলাদেশের পেনাল কোডের ৩৬২ এবং ৩৬৪ ধারা অনুযায়ী, লাশ বা লাশের টুকরো, খুনির ঘড়ি বা অন্য কোনো অংশবিশেষ উদ্ধার না হলে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হয়। সে কারণে আমরা এসেছি। আমাদের মূল কাজটি ছিল বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো, কলকাতায় যে আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে তাকে নিয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা, পাশাপাশি যে জায়গায় তারা গিয়েছিল সেসব জায়গায় অভিযান চালানো।

এমপি আনারের লাশ বা লাশের টুকরো যাতে পাওয়া যায় সে কারণেই আমরা এই তদন্ত চালিয়েছি। কারণ একটা মামলার নিষ্পত্তি করতে গেলে সুরতহাল, মেডিকেল রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট এবং আলামতের দরকার হয়। আমাদের কাজ ছিল আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে শেয়ার করা এবং উনাদের কাজে সহযোগিতা করা। আমরা মনে করি, আমরা সহযোগিতা করতে পেরেছি এবং যে উদ্দেশে এসেছিলাম যে একদিকে আলামত সংগ্রহ করা, সিআইডিকে সহযোগিতা করা, ডিজিটাল এভিডেন্স নিজে চোখে দেখা, কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদ হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলে আমাদের দেশে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বয়ান মিলিয়ে নেয়া, কোথায় কোথায় গেছে সেগুলোর খোঁজ-খবর নেয়া এসব ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।

সিএসপি/বিআরসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ