Logo
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১দফা বাস্তবায়নে সকল নেতাকর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে লোহাগাড়ায় বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন`র কমিটি গঠনঃ সভাপতি এডভোকেট আনোয়ার,সম্পাদক কাজি জসিম স্বনির্ভর বাংলাদেশ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন এবং হাতির সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে টহল,পথচারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মতবিনিময় বিএনপি সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করেঃ নূর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ লোহাগাড়ায় উৎসবমূখর পরিবেশে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির কার্যক্রম প্রতিটি ধর্মের মানুষেরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছেঃ নূর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আরাফাত রহমান কোকো গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়াজকদের সংবাদ সম্মেলন ডা: তাহমিনা সোলতানা ডেজি`র তত্ত্বাবধানে সিজার ছাড়াই একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম লোহাগাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বাইট্টা কাসেম আটক,ইয়াবা উদ্ধার

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

সিএসপি ডেস্কঃ

আজ সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা আমাদের ‘স্বাধীনতা’ নামের এক অমরবাণী শোনান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান।

পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনায় নিষ্পেষিত বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ছিন্ন করতে ছিল ব্যাকুল। স্বাধীনতার জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল তারা। তাদের প্রয়োজন ছিল একটি বজ্রকণ্ঠ ডাকের। তবে তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ডাক এসেছিল মুক্তি সংগ্রামের। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ১৮ মিনিটের মহাকাব্য রচনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ডাক দেন। সেদিন রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে রচিত অমর কবিতাখানি পুরো বাঙালি জাতি মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল।

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম— বঙ্গবন্ধুর এই ডাক নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র করে তুলেছিল। এদিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন—‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বীর বাঙালিদের অবশ্যম্ভাবী বিজয়কে উৎকীর্ণ করেন তাঁর ভাষণের শেষ দুটি শব্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে। রাজনীতির কালজয়ী কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ভাষণের মাধ্যমে দেশের শাসনভার জনগণের হাতেই তুলে দেন, ক্ষমতাকে কী করে নিয়ন্ত্রিতভাবে সবার কল্যাণে ব্যবহার করতে হয়, তাও বুঝিয়ে দেন। শিখিয়ে দেন আত্মরক্ষামূলক কিংবা প্রতিরোধক সমরনীতি, যুদ্ধকালীন সরকার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতি। সেই মর্মস্পর্শী বজ্রনিনাদ সাত কোটি বাঙালির হৃদয়কে বিদ্যুৎগতিতে আবিষ্ট করেছিল। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।

বাংলার মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিল। তাই তাঁর ভাষণে মূলত মানুষের মনের কথাগুলো ফুটে উঠেছিল। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন—বাঙালি জাতির বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটি প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে দিবসটি জাতীয় দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

সিএসাপ/বিআরসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ