সিএসপি ডেস্ক:
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে পদেক্ষেপ নিয়েছে সেটি আগে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের মিশনকে আগে তারা অবহিত করেছিল। এটি প্রকাশ্যে সবাইকে জানানোর আগে তারা আমাদের জানিয়েছিল।
সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল আজিজকে ‘দুর্নীতিবাজ’হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তার পরিবারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়। আজিজ আহমেদকে ’ডেজিগনেটেড’ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করার ফলে যুক্তরাষ্ট্র চারটি কাজ করবে।
প্রথমত তিনি কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাকে যদি কেউ সাহায্য করে বা লেনদেন করে, তবে সেটি মার্কিন অনুযায়ী অপরাধ হবে। যদি যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনও সম্পদ থাকে, সেটি বাজেয়াপ্ত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভিসা নীতি কারও ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সেটি অন্য একটি আইনের অধীনে নেয়া হয়েছে।’জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, সেটি এপ্রোপ্রিয়েশন আইনের অধীনে বলে তিনি জানান।
সরকার কোনও ব্যবস্থা নেবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি আর্মির বিষয়, সেনাবাহিনীর বিষয়। আমি এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু এসে বলে গেছেন, দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তি আছে, এমন বিষয়গুলো পাশে রেখে আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই। আমরাও তাদের একই কথা বলেছি। আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে এবং দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করছি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্যও দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছেন বলে তিনি জানান।
সিএসপি/বিআরসি