বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
গণশুনানীতে সেবা-গ্রহীতাদের সমস্যার সমাধানে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ট্রাকের চাপায় প্রান গেল শ্রমিকের! লোহাগাড়ায় নিখোঁজ পান ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার,২জন আটক রাষ্ট্র মেরামত ও পুনর্গঠন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে চুনতীর ১৯ দিনব্যাপী ৫৪তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) উদ্বোধন নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে আমীরের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবারের ১৯ দিনব্যাপী ৫৪তম সীরত মাহফিলের বাজেট সোয়া পাঁচ কোটি টাকা লোহাগাড়ায় নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দু` আসামী গ্রেফতার লোহাগাড়ায় ডাকাতি প্রস্তুতিকালে তিনজন আটক,ডাকাতির সরঞ্জামাদি জব্দ বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান

হালদায় ভেসে উঠল আরও এক মা মাছ

রাউজান প্রতিনিধি

হালদা নদী থেকে আরও একটি কাতলা মৃত মা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকা থেকে মৃত কাতলাটি উদ্ধার করা হয়।

রাউজান উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘একটি মৃত মা মাছ নদীতে ভেসে উঠার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করেছে। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।’

এদিকে হালদা ও পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদী দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণে গত ২৩ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর দপ্তর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে হালদা ও কর্ণফুলী নদীর পানি দূষণের উৎসসমূহ চিহ্নিতকরণ, মতামত ও পরিদর্শন প্রতিবেদন কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু আজ রোববার পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটিতে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত সম্পন্ন হয়নি, ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ বা তার পরের সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তিনি।’

অন্যদিকে, হালদা নদীর ভয়াবহ দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত দূষণে হালদা নদীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বিষাক্ত বর্জ্য দ্বারা হালদার জলজ বাস্তুতন্ত্রের পানির বিভিন্ন ভৌত-রাসায়নিক গুনাবলি পরিবর্তন হয়ে দূষিত করছে হালদার জলজ পরিবেশকে। নদী দূষণের বর্তমান পরিবেশ থেকে স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার জন্য হালদার শাখাখালে যেসকল কলকারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেসব কারখানার বিরুদ্ধে চিহ্নিতপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আনোয়ার ফেরদৌস বলেন, ‘হালদা ও কর্ণফুলী দূষণের উৎস খুঁজে বের করতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিএসপি/বিআরসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ