কাঞ্চন সুশীল, আনোয়ারা প্রতিনিধি:
আধ্যাত্মিক সাধক হজরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার (র.) এর বার্ষিক ওরশ আগামী মঙ্গলবার (২০ জুন) বটতলী রুস্তম হাটের দরগাহ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
ওরশ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচিতে রয়েছে খতমে কোরান, মিলাদ মাহফিল, ধর্মীয় আলোচনা, আখেরি মোনাজাত ও তাবারুক বিতরণ। এতে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য মাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আহবান জানিয়েছেন। এছাড়াও ওরশ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়।
জানা যায়, বাংলার সুফি মতবাদের অন্যতম প্রবর্তক হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (র.) সুদূর আরব থেকে সমুদ্রপথে ইসলাম প্রচারে চট্টগ্রামে আগমন করেন প্রায় ৭০০ বছর আগে। বর্তমান চট্টগ্রাম শহরের প্রবর্তক ছিলেন তার মামা বদর আউলিয়ার (রহ.)। চট্টগ্রাম নগরের চেড়াগী পাহাড়ে শুয়ে আছেন সেই মহান আধ্যাত্মিক ইসলাম প্রচারক।
চট্টগ্রামে আগমন করে হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (র.) চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তার আস্তানা গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে আধ্যাত্মিক শক্তিতে জনপ্রিয় এ মহাপুরুষের মাজার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ মহান সাধক দীর্ঘদিন ধরে এবাদত রেয়াজতে মগ্ন অবস্থায় ৯৮৫ হিজরি ৯৭১ বাংলা ৬ আষাঢ় ১৫৬৫ সনে মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর থেকে প্রতি বছর ২০ জুন ৬ আষাঢ় বার্ষিক ওরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর বার্ষিক ওরস শরিফকে ঘিরে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের রুস্তমহাট দরগাহ প্রাঙ্গণে মাজার পরিচালনা কমিটি ছাড়াও উপজেলার ১১ ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠন ও ভক্তরা কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণের মধ্য দিয়ে ওরসের কর্মসূচি পালনের আয়োজন করে।
ওরসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ ভক্তগণ দরবারে আসত। ওরসকে ঘিরে রাতব্যাপী বটতলী রুস্তমহাট ও আশপাশ এলাকায় ভক্তরা কবিগান, জারিগান ও ধর্মীয় গানের আসরের আয়োজন ছাড়াও পুরো এলাকায় মেলা বসত।
ওরশের সার্বিক বিষয় নিয়ে মাজারের প্রধান মুতায়াল্লী ফজলুল করিম জানান, ওরশের সব আয়োজন শেষ হয়েছে। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চৌকিদার রয়েছে। আশা করি সুশৃঙ্খলভাবে ওরশ শেষ হবে।