চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২ কেজি ৪৪০ গ্রাম স্বর্ণ । উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ২৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬০ টাকা।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইনসের G9-526 ফ্লাইটে আসা দুই যাত্রীর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রামের পটিয়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম ও একই ফ্লাইটে আসা হাটহাজারীর মো. সোলাইমানের ছেলে মো. মোরশেদ।
বিমান বন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইনসের G9-526 একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসেন। যথারীতি কাস্টম স্ক্যানিংয়ের পর শুল্ক গোয়েন্দা এবং এনএসআই যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের পটিয়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শফিকুল ইসলামের ব্যাগেজ তল্লাশি করে একটি গৃহস্থালি মেশিনের ভেতর ১ কেজি ২৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬০ টাকা।
একই ফ্লাইটে আসা হাটহাজারীর মো. সোলাইমানের ছেলে মো. মোরশেদের আনা কোভ্যাক্স হাই প্রেসার ওয়াশার মেশিনের ভেতর থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা প্রায়।
কাস্টম হাউসের এক কর্মকর্তা সিএসপি নিউজকে জানান, ব্যাগেজে থাকা কোভ্যাক্স হাই প্রেসার ওয়াশার মেশিনের ওজন অস্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীসহ বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে স্বর্ণকার কর্তৃক কাটার মেশিনের সাহায্যে কাটা হয়। এরপর ওই মেশিনের রোলারের ভেতর বিশেষভাবে লুকানো একটি দণ্ডাকৃতির পিণ্ড পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সার্টিফাইড স্বর্ণকার দ্বারা পরীক্ষা করা হয়। পাওয়া যায় ২৪ ক্যারেটের ১ হাজার ১০০ গ্রাম স্বর্ণ। এসময় ওই যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে ২২ ক্যারেটের আরও দুটি স্বর্ণের চুড়ি, চারটি আংটি পাওয়া যায়। যার ওজন ১০০ গ্রাম। উদ্ধার করা এসব স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। উদ্ধার করা স্বর্ণ ডিএম মূলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
যাত্রী দুইজনের বিষয়ে কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা এবং এনএসআই কর্তৃক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক করা হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
সিএসপি/বিআরসি