রায়হান সিকদার, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের স্কুল রোডটি অতীত জনগুরুত্বপুর্ণ।এ সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তে জমে থাকে পানি। গাড়ি চলছে ঝুঁকি নিয়ে। তার ওপর গর্তে জমেছে বৃষ্টির পানি। দেখে মনে হবে ডোবা। এসব গর্তে পড়ে প্রায় সময় আটকে যাচ্ছে গাড়ি। কাদাপানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার শেষ নেই। তবে, সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বার বার সড়কটি সংস্কারের কথা বললেও কাজের কাজ করেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দু পাশে রয়েছে বিভিন্ন নিত্যপণ্য সামগ্রী দোকানপাট। এ সড়কটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ,শিক্ষার্থী ও অনেক গাড়ি চলাচল করে থাকে।এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। বিশেষ করে সড়ক দিয়ে দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, আমিরাবাদ সুফিয়া আলীয়া মাদ্রাসা,আমিরাবাদ জনকল্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,আমিরাবাদ জনকল্যাণ বালক উচ্চ বিদ্যালয় আমিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। এ সড়ক দিয়ে দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াত করে থাকে শিক্ষার্থীরা। একটি কেন্দ্র হল আমিরাবাদ সুফিয়া আলীয়া মাদ্রাসা,অপরটি কেন্দ্র দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।গেল কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে সড়কটি বড় বড় অংশ ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া সামান্য পানি হলেই স্কুল রোডের সমিল সংলগ্ন এলাকায় জমে থাকে পানি। চলাচলে মশকিল হয়ে যায়। বড় বড় গর্তের কারণে ওই জায়গা ডুবে যায়। পানি চলাচলের জন্য সড়কের পাশে ড্রেনের কোন ব্যবস্থা নেই।বটতলী স্টেশনের বিভিন্ন এলাকার পানিগুলো গতিবেগে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করার কারণে জলাবদ্ধতা দ্বিগুন বেড়ে যায়। ফলে সাধারণ জনগণ ও গাড়ি চলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।
স্কুল রোডের দোকানদার নজরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। গাড়ি চলাচলের সময় গর্তে জমে থাকা পানিগুলো তাদের দোকানে ছিটকে পড়ে। অনেকক্ষণ পরে গর্তের পানি কমে যায়। অনেক কষ্টের মধ্যে আমাদের দোকান করতে হয়। গাড়ি চলাচলের সময় বৃষ্টির পানি দোকানে ছিটকে পড়ে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।
এলাকার বাসিন্দা মিয়া মোঃ শাহজাহান জানান,সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষার শুরু হওয়ার সাথে সাথে সড়কের কয়েকটি স্থানে গর্তে পরিণত হয়।আমরা চলাফেরা করলে বিভিন্ন এলাকার পানি এসে জমে থেকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে আমাদের কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যায়।সড়কটির বেহাল দশার বিষয়ে মাননীয় এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি।
শিক্ষার্থীরা অভিভাবক কোহিনুর আকতার জানান, গেলামকাবারী স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গতের পানি গুলো অনেক কাঁদা। মেয়ের স্কুল ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়।
ইমু, ইফতি ও ইশমাম নামের শিক্ষার্থীরা জানান,এ সড়ক দিয়ে আমরা স্কুলে যাতায়াত করি।যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত গর্তে ছিটকে পড়ে আমাদের কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমশুল আলম জানান, সড়কটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে কয়েক স্থানে গর্তে পরিণত হয়েছে।শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা-যাওয়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বৃষ্টির পানিতে সড়কটিতে ডোবা আকার ধারণ করে।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইফরাত বিন মুনীর বলেন, সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রায় ১কোটি ৪০টাকা অনুমোদন পেয়েছে।আগামী ১৮ সেপ্টম্বর টেন্ডার হবে। দ্রুত সড়কটির কাজ করার আশ্বাসও দেন তিনি।
স্থানীয় সাংসদের একান্ত সচিব, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য এরফানুল করিম চৌধুরী জানান, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয় সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ কে নির্দেশনা দিয়েছেন। অচিরেই সড়কটি কাজ শুরু হবে।