লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের জান মোঃ পাড়া এলাকায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এক পরিবার বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই এলাকার হেলাল উদ্দিনের সহধর্মীনি নুর আয়শা বেগম বাদী হয়ে ওই এলাকার সোলাইমান, হারেচ, মোস্তাক, কমরুন্নাহারকে বিবাদী করে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হারুনের সা্থে হেলালের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং আমাদের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বার বার সমাধান করার চেষ্ঠা করলে ব্যর্থ হয়। কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে উল্লেখিত বিবাদীগণ নুর আয়শার বসতঘরে ভাংচুর করে। এতে তিনি বাঁধা প্রদান করলে তাকেও মারধর করে। নুর আয়শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।ভুক্তভোগী নুর আয়শা জানান, আমাদের বসতঘর নিয়ে অনেকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আমরা আমাদের জায়গায় ঘর নির্মাণের কাজ করছি। গতকাল রাতে দলবল মিলে আমাদের বসতঘরে ভাংচুর চালায়। সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি।স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সোলাইমান জানান,বাদী বিবাদী দু`জনে আমার কাছে সমান। বসতঘর ভাংচুরের ঘটনাটি যারাই ঘটিয়েছে অন্যায় করেছে। বিষয়টি আমরা কয়েকবার মীমাংসা করার চেষ্ঠা করেছি। বিষয়টি থানা প্রশাসনকেও অবগত করেছি। তবে,আমার জড়িয়ে তারা অন্যায় কাজ করেছে। যার ঘটনার সা্থে আমার কোন সম্পর্ক নাই।অভিযুক্ত কামরুন্নাহার বেবি জানান, বসতঘর ভাংচুরের ঘটনাটি আমরা করিনি।এটা ষড়ষন্ত্র। আমাদের কে জড়িয়ে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করা হচ্ছে। আমার স্বামীর সাথে বাদীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আমরাও গত সপ্তাহে থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযোগটি এএসআই হালিমের কাছে রয়েছে। আমাদের উপর প্রতিপক্ষরাও অন্যায় করে যাচ্ছে।চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মৌলানা হেলাল উদ্দিন জানান, আমি মাহফিল থেকে আসতেছি। চিৎকার দেখে দাঁড়িয়েছি। ভুক্তভোগী আমাকে বসতঘর ভাংচুরের দৃশ্য দেখতে পায়। তবে ঘটনাটি কারা করেছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে ঘটনাটি হৃদয়বিদারক ।লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান,বসতঘর ভাংচুরের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।