লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৬ আগস্ট সারাদেশের ন্যায় অন্যান্য থানার মত লোহাগাড়া থানা পুড়িয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।
থানা পুড়িয়ে দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় যাবতীয় পুলিশি কার্যক্রম। অবশেষে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপির নির্দেশনা দেন যার যার কর্মস্থলে গিয়ে কাজে যোগদান করার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে একে একে কাজে যোগ দিতে শুরু করেছে লোহাগাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা।
থানা কম্পাউন্ড পুড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ীভাবে শুরু হয়েছে লোহাগাড়া থানার পুলিশের কার্যক্রম।১০আগস্ট থেকে পুলিশি সেবা কার্যক্রম সিটিজেন পার্কে শুরু করা হয়। এইদিন ১৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে সাধারণ সেবাপ্রার্থীরা এসে তাদের অভিযোগ তুলে দিচ্ছেন পুলিশের কাছে। পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম চালাতে লোহাগাড়া থানা পুলিশকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সিটিজেন পার্কের স্বত্বাধিকারী ইনজামামুল হক চৌধুরী যুবরাজ জানান, জনসাধারণের সুবিধার্থে সেবা দিতে লোহাগাড়া থানার কার্যক্রম সিটিজেন পার্কে পুলিশি সেবা দেওয়া হচ্ছে।কোন বিনিময় ছাড়া এ সিটিজেন পার্ক ব্যবহার করার জন্য দেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশ যতদিন চাইবে ততদিন তারা সিটিজেন পার্কে জনগণকে পুলিশি সেবা দিতে পারবে।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, থানা কম্পাউন্ড পুড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী ভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। একে একে কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন লোহাগাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা। যতদিন পর্যন্ত থানা কম্পাউন্ডের সংস্কার সম্পন্ন করা না হয় ততদিন পর্যন্ত সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী কার্যালয় থেকে সেবা প্রদান করা হবে। সিটিজেন পার্কের মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।