রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম।
বৃহস্প্রতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো উপজেলার চুনতি বনপুকুর এলাকার ইয়াছিন মাঝির মালিকানাধীন মেসার্স চুনতি ব্রিকস ম্যানু (সিবিএম) , মহাসড়কের আমিরাবাদ বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের পার্শ্বে শরীফ খাঁনের মালিকানাধীন মেসার্স বার আউলিয়া ব্রিকস (বিএবি) এবং চরম্বা ইউনিয়নের মুছা কোম্পানীর স্ত্রী খালেদা বেগমের মালিকানাধীন মেসার্স আরব ব্রিকস ম্যানু (এবিএম)।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার।
অভিযান কালে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোঃ মোজাহিদুর রহমান, রিসার্চ অফিসার মোঃ আশরাফ উদ্দিন,পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ফয়সল,ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী ইফতেকার উদ্দিন, লোহাগাড়া উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির বজলুল হুদা চৌধুরী,লোহাগাড়া থানার এসআই জামাল হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোহাগাড়া ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার নীলমনি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ, র্যাব-০৭ চট্টগ্রাম এর সদস্যবৃন্দ, লোহাগাড়া থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, লোহাগাড়া স্টেশনের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ফয়সল জানান, লোহাগাড়ার অনেক ইটভাটা অবৈধ।অনেক ইটভাটা লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ কোন ধরনের কাগজপত্র নাই। নিয়ম নীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে আবাদি জমিতে, পাহাড়ি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। ইট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে আবাদি জমির মাটি। কাটা হচ্ছে পাহাড়ি টিলা। ইটভাটার পরিবেশের
ছাড়পত্র, লাইসেন্স না থাকা এবং ইটভাটার বিরুদ্ধে পাহাড় ও কৃষিজমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইট প্রস্তুত করে ভাটা পরিচালনার প্রস্তুতি নেয়ার কারণে
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সদর দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় অভিযান পরিচালনা করে তিনটি ইটভাটার চিমনিসহ কিলন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।