লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
লোহাগাড়ার চুনতি খতিয়ানভূক্ত জায়গায় স্থিত মৎস্য খামার ও লেবু বাগান কেটে নষ্ট করে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের সাতগড় বিটের আওতাধীন বট্টলী ঘোনা এলাকায় সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধনে সাজেদা এগ্রোর মালিকের ভাই মো. ইসমাইল জানান, বট্টলী ঘোনা এলাকায় তাদের খতিয়ানভূক্ত জায়গায় সাজেদা এগ্রো দীর্ঘদিন যাবত মাছের খামার ও বিভিন্ন ধরণের ফলদ বাগান করে আসছেন। প্রায় ৫ বছর যাবত তাদেরকে জিম্মি করে বনবিভাগ প্রতি মাসে এক লাখ টাকা করে চাঁদা নিয়ে আসছিল। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে বনবিভাগের লোকজন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে একসাথে চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক দেলোয়ার হোসেন, চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও সাতগড় বিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ৯টি মাছের খামারের পাড় কেটে পানি ছেড়ে দেয়। এছাড়া এক হাজার লেবু গাছের চারা কেটে ও পানের বরজ ধ্বংস করে দেয়। এতে তাদের ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উক্ত জায়গার অধীনে ব্যাংক লোনও রয়েছে। ঘটনার পর সাজেদা এগ্রোর মালিক মো. কামাল স্ট্রোক করে বর্তমানে হাপসাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ব্যাপারে জানতে সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান,ডিপো, এসিএফসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বনবিভাগের জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। পুকুরে তাদের তাদের কোন খতিয়ানি জায়গা নেই, তবে,ধানি জমিতে তাদের কিছু খতিয়ানি জায়গা থাকতে পারে। আমরা বনবিভাগের জায়গা উদ্ধার করেছি।