লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে প্রধান আসামী করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২০২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে থানায় মামালাটি বাদী হয়ে দায়ের করেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা গেইট এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয়।
লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) খায়রুল ইসলাম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম -১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, বিদ্যুৎ বড়ুয়া,বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরীসহ ৩০০-৫০০জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে স্বৈরাচার অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন হলে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা শান্তিপুর্ণ আনন্দ মিছিল আমিরাবাদ ব্যাংক এশিয়ার সামনে কক্সবাজার মহাসড়কের উপর পৌঁছালে আসামীদের প্ররোচনায় আনন্দ মিছিলে গতিরোধ করে। মারধর করতে থাকে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশে উল্লেখিত এলাকায় সংহতি ও জন নিরাপত্তা বিপন্ন করিবার জন্য আসামীসহ অজ্ঞাত নামা আসামীগন ককটেল ও বিভিন্ন বিস্কোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরক ঘটিয়ে জনসাধারণের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে। আসামীগন দেশিয় অস্ত্র,শস্ত্র, লোহার রড তরবারি ও শর্টগান নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় ও ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া করে। আসামীগন মুদির দোকান,ফার্মেসি চায়ের দোকান ভাংচুর করে এবং সিএনজি ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।এতে কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এরপর আসামীগন অস্ত্র-শস্ত্র,নিয়া মিছিল সহকারে পুরাতন থানার মোড় হয়ে লোহাগাড়া থানায় সামনে গিয়ে আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ কারি সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর গুলি ছুটতে থাকলে আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহন কারি বেশ ছাত্র-জনতা আহত হয়। এলাকায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও পুরো এলাকায় ককটেল জনসম্মুখে গুলি ছুটায়। আসামীগন এক যোগে পরস্পর যোগসাজশে বিকাল ৫টা থেকো রাত ১২টা পর্যন্ত আসামীরা বেআইনি জনতাবদ্ধে ছাত্র-জনতার উপর গুলি ছুটে আহত করে ককটেল বিস্ফোরক ঘটিয়ে জনমতে ভীতি সৃষ্টি করার অপরাধ করেছে বলেও এজাহারে উল্লেখ।