রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন (চূড়ান্ত পর্যায়) শুরু করেছে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার।সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা দান ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়,বড়হাতিয়া মালপুকুরিয়া মিশকাতুল উলুম মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে, টিকা গ্রহনে উৎসাহিত করণ ও টিকা দান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ।
পরিদর্শন কালে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারি সার্জন ডাঃ জিয়া উদ্দিন আহমেদ,মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ইপিআই) মোহাম্মদ আলী,পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন,সহকারি প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা, হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সূত্রে জানা যায়, মোট বিশ হাজার ৪ শত ৪১জন মেয়েকে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা প্রদান করা হবে। ৫ম থেকে ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদেরকে টিকা দান কর্মসূচি এবং ১০ থেকে ১৪বছর বয়সী কিশোরীকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা দান কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ বলেন, টিকাদান কর্মসূচির টার্গেট ফিলাপ করতে আমাদের সকলকে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।লোহাগাড়ায় মোট বিশ হাজার ৪ শত ৪১জন মেয়েকে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা প্রদান করা হবে।উৎসব মুখর পরিবেশে টিকা প্রদান করছে মাদ্রাসা ও স্কুলের ছাত্রীরা। ১০ থেকে ১৪বছব বয়সী কিশোরী এবং ৫ম থেকে ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রীদেরকে এসব টিকা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা, উন্নত মানের বেলজিয়াম (জি এস কে) কোম্পানির।যেখানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তেমন একটা সম্ভাবনা নাই। টিকা গ্রহণের পর শরীরে ব্যথা ও হালকা জ্বর হতে পারে।সেখানে ভয়ের কোন কারণ নেই।টিকা গ্রহণে সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলেও তিনি জানান।