মেঘনা ও ফেনী নদীর মোহনায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দেশের বৃহত্তম জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা এনএসইজেড।
মহামারি করোনাকালীন সময়সহ বিভিন্ন কারণে কারখানা স্থাপনে ধীরগতি থাকলেও গত বছর থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে এর নির্মাণকাজ।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চলতি বছরের শেষ দিকে ২৮টি দেশি-বিদেশি ২৮টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাবে চট্টগ্রামের বিশেষ এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে। সেখানে কর্মসংস্থান হবে অন্তত দুই লাখ মানুষের।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে পারে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে এরই মধ্যে ১৫৫ বিনিয়োগকারী নিজেদের জমি বুঝে পেয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশি ব্যবসায়ীরাও এনএসইজেড পরিদর্শনের পর এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিনিয়োগকারীদের মতে, বিনিয়োগ করা নিয়ে তারা অত্যন্ত ইতিবাচক। বাংলাদেশে অনেক সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগ বান্ধব হলেও এখানে নানা চ্যালেঞ্জও আছে।
সেসব চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করা হলে, বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে আনতে পারবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরামর্শক আবদুল কাদের খান বলেন, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে এ অঞ্চল ঘিরে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে দুটি জোনে প্রায় ১৫০০ একর ভূমি উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম বেজা প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, এই বিশাল কর্মযজ্ঞের মাঝেও সংকট রয়েছে জ্বালানি, পানিসহ দক্ষ শ্রমিকের।
তবে বিদ্যমান সংকট সমাধানে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী একগুচ্ছ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বেজা বলছে, জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত স্থানীয় এবং বিদেশি প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।