Logo
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে-বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও উপ-সচিব ওএসডি বাবরসহ ৬ জন খালাস, পরেশ বড়ুয়াসহ ৫ জনের সাজা কমল লোহাগাড়ায় অনলাইন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ, জড়িত সন্দেহে তিন বন্ধু আটক লোহাগাড়ায় দখলীয় জায়গা জোরপূর্বক দখল প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লোহাগাড়ায় নিরাপদ মহাসড়ক ও দূর্ঘটনা রোধকল্পে মতবিনিময় সভা দলীয় নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা এসএম আবু তাহের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দলকে সুসংগঠিত করুনঃ নাজমুল মোস্তফা আমিন রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে, মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবেঃ ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বটতলী স্টেশনে যানজট নিরসনে কঠোর অবস্থানে লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ট লোহাগাড়ার মানুষ !

রায়হান সিকদার, লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গেল জুলাই-আগস্ট মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে দ্বীগুন থেকে পাঁচ-ছয় গুনেরও বেশি। এসব বিলের কাগজ হাতে পেয়ে লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকেরা অনেকটাই ক্ষুব্ধ।গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিল সাথে ক্ষোভ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে ভীড় করছেন।

তবে, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে অতিরিক্ত গরমের কারনে এমাসে বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল এসেছে লাগামহীন। এতে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা।

চুনতি চাঁন্দা এলাকার কবির আহমদ জানান, আমার একটি আবাসিক মিটার নেয়া আছে, গেল জুলাই মাসে বিল আসে ৩০০ টাকা এসেছিলো কিন্তু আগস্ট মাসে ওই মিটারে ৩ হাজার ১০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।এটা ভুতুড়ে বিল ছাড়া কিছুইনা।

চুনতির বাসিন্দা সংবাদকর্মী আরিফুল ইসলাম রিফাত জানান,আমার বাড়িতে ৬০০ টাকার উপরে বিদ্যুৎ বিল আসেনা, এবারে ১১০০টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।

দরবেশহাটের বাসিন্দা, সংবাদকর্মী আলা উদ্দিন জানান,আমার বাড়িতে দু মাসে ৫ হাজার টাকার অধিক বিদ্যুৎ বিল এসেছে,অথচ আমি আমার স্ত্রী দুজনে থাকি। এত টাকা কিভাবে আসলো, এটি ভুতুড়ে বিল ছাড়া কিছুই না।

চরম্বা নোয়ারবিলার বাসিন্দা আবদুর রহিম জানান,আমার এ মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২হাজার ৭শত ২১টাকা। এটা ভুতুড়ে বিল করা হয়েছে।

এছাড়াও মিজানুর রহমান নামের আরেক গ্রাহক জানান,আমার বাড়ির(আবাসিক) মিটারে বিল এসেছে ২৭৫৪ টাকা।অথচ আমার বাড়িতে তেমন ব্যবহারও হয়না।

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসলেও সামর্থ যাদের আছে তারা দিতে পারলেও বিদ্যুৎ বিলের
কয়েক গুন টাকা দিনমুজুরের পক্ষে এধরনের বিল দেয়া কষ্টকর বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোহাগাড়া জোনাল অফিসের কয়েকজন মিডার রিডারের সাথে কথা হলে তারা বলেন,প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ বেশি ব্যাবহার করেছে গ্রাহকরা যার কারনে এমাসে সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে। বাড়ী বাড়ী গিয়ে মিটার রিডিং না করার অভিযোগ অস্বীকার করে তারা বলেন, আমরা প্রতি মাসেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করে থাকি।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোহাগাড়া জোনাল অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইকবাল বাহার চৌধুরী চট্টগ্রাম সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন,রিডিং নিয়ে আসলে গ্রাহকেরা আসলে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ শাহজাহান চট্টগ্রাম সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিদ্যুৎ এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিটারে বিদ্যুৎ বিলে রিডিং এর সাথে মিল না থাকলে তদন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ