বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও
সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রতয়ে ‘জাতীয় হিন্দু সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয় ৪ঠা ফেব্রুয়ারী শরিবার
ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে। সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্যর্যালী শেষ করে সভার কার্যμম শুরু হয় সকাল ১০ ঘটিকায়
মধ্যান্ন ভোজের বিরতির পর বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত সভার কার্যμম চলে।
সভার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর পবিত্র গীতাপাঠ করা হয়। এরপর সমবেত মহিলাদের উলুধ্বনি এবং পুরোহিতদের শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করা হয়। সভায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর প্রাণ- পুরুষ মহাসচিব এ্যাড. গৌবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় সভাপতি এ্যাড. বিধান বিহারী গোস্বামী স্বাধীনতা পরবতী বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বহুবিধ বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং এর আশু প্রতিকারের জন্য একটি মাত্র
দাবি উত্থান করা হয়- তা হলো মহান সংসদে হিন্দুদের জন্য সংরক্ষিত আসন পদ্ধতি প্রবর্তন করা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির কো-
চেয়ারম্যান ও এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টির এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এড. সালমা ইসলামসহ
আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এই সভায় ভার্চুয়ালী অংশগ্রহন করেন সর্বভারতীয় বিজেপি সহ-সভাপতি
শ্রী দিলিপ ঘোষ। তিনি দুই বাংলার মানুষদের ধর্ম বর্ণ ও শ্রেণীভেদ ভুলে নিজেদের অভিন্ন বাঙ্গালী ঐতিহ্য লালন করে
পারস্পরিক সহাবস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এই জাতীয় হিন্দু সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌ: নীপেশ রঞ্জন হোর ও সাধারণ সম্পাদক শ্রীকৃষ্ণ
পদ আচার্য্যরে নেত্বত্বে প্রায় শতাধিক ত্যাগী প্রবীণ ও নবীন নেতা কর্মী অংশগ্রহন করেন। সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিভাগীয়
কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কৃষ্ণ পদ আচার্য্য তার বক্তব্যে বলেন ১৯৪৭ সালের পর থেকে এবং ৭১ সালে স্বাধীন
বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের পর এই অঞ্চলে সনাতন সম্প্রদায়ের শোষণ, নির্যাতন ও অধিকার হরণের যে নির্মম ও করুণ
ইতিহাস তা কখনো পুরাপুরি জন সমক্ষে আসেনি এবং উত্তরোত্তর তা বেড়েই চলেছে। এর প্রতিরোধের জন্য তিনি
সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে সমগ্র বাংলাদেশের সকল জেলা, উপজেলা থেকে হিন্দু মহাজোটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সকল নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বিদের ন্যার্যস্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় সব সময় সোচ্চার থাকার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।