পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়া উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবাইদুল্লাহ লিটন বক্তব্যে বলেন, সাইফুদ্দিন খালেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, তবে আইনশৃঙ্খলা সভায় কেন তাকে সভাপতি হিসেবে সম্বোধন করা হয়।
জুবাইদুল্লাহ লিটনের বক্তব্যের জবাবে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, জুবাইদুল্লাহ লিটন দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাদের মত অপরাধীকে আইনশৃঙ্খলার সভায় উপস্থিত রেখে আইনশৃঙ্খলা কথা বলা যায় না।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ত্রাণ চুরির দায়ে বহিষ্কৃত হন তিনি একজন অপরাধী। বক্তব্যের এক পর্যায়ে দুগ্রুপের মধ্যে হট্টগোল বেধে যায়।
দুপক্ষের উদ্ভট পরিস্থিতির কারণে তাৎক্ষণিক সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভার সভাপতি পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সিএসপি নিউজকে বলেন, উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে একটু উচ্চবাক্য বিনিময় হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমি তাৎক্ষণিক সভা স্থগিত করে দিয়েছি। আগামীতে কমিটির সদস্য ছাড়া আর কাউকে সভায় প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে না। একমাত্র যারা এ কমিটির সদস্য তারাই বৈঠকে থাকার সুযোগ পাবেন।
বৈঠকে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীর প্রতীক উপস্থিত ছিলেন।
সিএসপি/বিআরসি