লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের নৌকার প্রার্থী প্রফেসর ডক্টর আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভি’র নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
২১ ডিসেম্বর রাতের প্রথম প্রহরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেব’র সমর্থকরা উপজেলার চরতি ইউনিয়নে এই হামলা করে। হামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ ১৯জন মারাত্মকভাবে আহত হয়।তাদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সা্ধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ আরও কয়েকজন চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় এক কমিনিউটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মহিলা আ’লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন,নৌকার গণজোয়ার সহ্য করতে না পেরে ৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা করে। আমি ডক্টর নদভি এমপি’র পত্নী হওয়ায় তারা আমাকে মেরে ফেলার জন্য এই হামলা করে। তিনি আরো বলেন, ঢাকায় বসে সাতকানিয়ায় মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে। মোতালেব-ডাক্তার মিনহাজের সার্বিক নির্দেশনায় হামলা হচ্ছে, এমনকি তারা ভোটারদের মাঝেও ভীতি সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, চরতি ৮ নং ওয়ার্ডের সন্ত্রাসী সাইফুল মেম্বার,মোস্তফা, নজরুল ও লম্বা ফারুকসহ সন্ত্রাসী বাহিনীকে অতিসত্বর আইনের আওতায় আনা হোক। নৌকার প্রার্থী প্রফেসর ডক্টর আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভি বলেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সর্বস্তরের আলেমসমাজ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ি সংগঠন এবং মেহনতী মানুষরা নৌকার পক্ষে সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। এই দৃশ্য দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগ নেতা এডভোকেট কাইছার আহমদ কচি,দক্ষিণ জেলা আ’লীগ প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আ’লীগ নেতা গোলাম ফারুক ডলার,জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ফারুক ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান,উপ-দপ্তর সম্পাদক এমএস মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।