নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আবদুল জব্বারের বলিখেলা বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, ১৯০৯ সালে ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলা এবং শক্তিমত্তা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের মনোবল বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই আবদুল জব্বার সওদাগর এই বলিখেলার প্রবর্তন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বলিখেলার এটি ১১৫তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এদিকে বলিখেলাকে ঘিরে নগরের লালদীঘি মাঠের আশপাশে বসা শুরু করেছে তিনদিনের বৈশাখী মেলা। আগামী ২৪-২৬ এপ্রিল (বুধবার-শুক্রবার) এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বলিখেলার জন্য লালদীঘি মাঠে এরই মধ্যে ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের বালুর মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পাঁচটি ধাপে প্রতিযোগিতা হবে। প্রথম বাছাইয়ের পরের রাউন্ড পর্বে ৫০ জনকে নিয়ে খেলা হবে। সেখান থেকে ২৫ জন যাবেন মূল চ্যাম্পিয়ন পর্বে। এখানে কোনও পয়েন্ট ব্যবস্থা নেই। কুস্তি করতে করতে মাটিতে যে প্রতিপক্ষের পিঠ লাগাতে পারবে সেই বিজয়ী হবে। প্রতিবছর ১০০-১৫০ জন বলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসে এ মেলায় অংশ নেন।
প্রচলিত আছে, ১০৩ বছর আগে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এ প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এ প্রতিযোগিতা জব্বারের বলিখেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতি বছর ১২ বৈশাখ নগরের লালদীঘি মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় ‘বলী’। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘কুস্তি’ বলীখেলা নামে পরিচিতি।
সিএসপি/বিআরসি