চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় কলেজ পড়ুয়া ভাগনি (খালাতো বোনের মেয়ে) আরজু আকতার (১৯)কে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে মামা নাজিম উদ্দীন (২৮)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ধর্ষণের চেষ্টার সময় চিৎকার করায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটনো হয়। এদিকে ঘটনাটি দেখে ফেলায় খালা-খালুকেও হত্যার উদ্দ্যেশে জবাই করার চেষ্টা করে নাজিম।
তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ঘাতক নাজিম পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা রক্তান্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম (৭৫) ও ফরিদা বেগম (৬০)কে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে নিহত আরজুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
নিহত আরজু আকতার এক সপ্তাহ আগে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আহত নানা আবদুল হাকিম (৭৫) ও নানী ফরিদা বেগম (৬০) নয়াপাড়ার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, কলেজ পড়ুয়া আরজু সপ্তাহখানেক আগে নয়াপাড়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওইদিন খালার বাড়িতে বেড়াতে আসেন অভিযুক্ত নাজিম।
পরদিন চলে গেলেও আরজু নানার বাড়িতে অবস্থান করছেন জানতে পেরে মঙ্গলবার রাতে নাজিম আবারও তার খালার বাড়িতে আসে।
রাত ২টার দিকে আরজু বাথরুমে গেলে সুযোগ বুঝে নাজিমও বাথরুমে ডুকে প্রথমে ভাগনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে আরজু চিৎকার করলে তার মুখের মধ্যে কাপড় ঢুকিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে।
এ সময় আরজুর চিৎকার শুনে তার নানা-নানির ঘুম ভেঙে গিয়ে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি দেখে ফেলায় নাজিম তাদেরকেও জবাই করে হত্যা করতে চায়। এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নাজিম পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা রক্তান্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম ও ফরিদা বেগমকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফরিদা বেগমের অবস্থা আংকাজনক বলে জানা গেছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানা থেকে একটি টিম পাঠানো হয়।
টিম চন্দনাইশ নিহত আরজুর লাশ উদ্ধার পপরবর্তী সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত কলেজ ছাত্রীর নানা-নানী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাচ্ছে না। বিস্তারিত জানানো হবে।