রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি থাকলে ঈদের আমেজ কাটতে না কাটতেই তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
নিত্যপণ্যের বাজারে যেন সবকিছুর দাম তরতর করে বাড়ছে। তেমনি চট্টগ্রামের বাজারে ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে সবজির বাজার। দামে আগুন মাছের বাজারেও। ওষ্ঠাগত ক্রেতাদের জীবন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজি ও মাছের বাড়তি দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি এখন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কিছু কিছু সবজি আবার কেজি দরে সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে। সব মিলিয়ে সবজির দাম বাড়তি।
বিক্রেতারা বলছেন, বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ, আবার কিছু কিছু কেবল উঠতে শুরু করেছে যে কারণে দাম কিছুটা বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।
এদিকে পাবদা, চিংড়ি, টেংরা, মলা, রুইসহ বেশিরভাগ মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা থাকলেও সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় বেশিরভাগ মাছের দাম বেড়ে গেছে।
এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সদরের মুন্সেফ বাজারে মাছ কিনতে আসা শিক্ষক সুমন দাশ জানালেন, মাছের বাজারে আগুন। বাজারে এসে দাম শুনেই বিক্রেতার চোখের দিকে তাকিয়ে অস্বস্তির ঢেঁকু তুলে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
আয়েশা আক্তার নামে অপর এক গৃহিনী জানালেন, ঈদের পর কমার চাইতেও উল্টো দাম আরও বেড়ে গেছে মাছের দাম।
এমন দাম দিয়ে সপ্তাহে একবারও মাছ কেনা কষ্টকর। এখন মাছ খাওয়া যেন বিলাসিতা। দাম শুনে মাছ না কিনে বাধ্য হয়ে ডিম নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
বাজারের এমন পরিস্থতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাজারে আসা অনেক ক্রেতা।
একই বাজারের মাছ বিক্রেতা সোলাইমান জানালেন, ঈদের পর মাছের চাহিদা দ্বিগুন বেড়েছে, তবে সে তুলনায় সরবরাহ একেবারেই নেই বললেই চলে। আবার পরিবহন খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে দাম বাড়ছে।
জেএন/পিআর